"একটি কেন্দ্রীয় দলের আগমনের খবর থেকেই স্পষ্ট বাংলার অবস্থা ভালো"

সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে ডেরেক ও ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দীনেশ ত্রিবেদীরা সকলেই বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্য নিয়ে সুর চড়ান।

সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে ডেরেক ও ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দীনেশ ত্রিবেদীরা সকলেই বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্য নিয়ে সুর চড়ান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পশ্চিমবঙ্গে করোনা যুদ্ধে রাজ্য সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত সদর্থক তা কেন্দ্রের সাম্প্রতিক প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট বলে মনে করছেন তৃণমূল সাংসদরা। সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে ডেরেক ও ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দীনেশ ত্রিবেদীরা সকলেই বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্য নিয়ে সুর চড়ান। তবে কোভিড-১৯ মোকাবিলার ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যে যখন তিনটি দুটি করে কেন্দ্রীয় দল যাচ্ছে, তখন পশ্চিমবঙ্গে একটিমাত্র দলের আগমনের খবর যে আদতে করোনা যুদ্ধে রাজ্যসরকারের সাফল্যকেই তুলে ধরে এমনটাই জানান তৃণমূল সাংসদরা।

Advertisment

সর্বভারতীয় তৃণমূল দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, "গতকাল রাত ৮.৩০ নাগাদ হঠাৎই জানতে পারি ২০টি দল ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাঠান হবে। গুজরাটে ৩টি দল, মহারাষ্ট্রে ৩, দিল্লিতে ২, রাজস্থানে ২টি এবং উত্তরপ্রদেশে ২টি দল যাচ্ছে। অর্থাৎ যেখানে খুব কঠিন পরিস্থিতি সেখানে পাঠান হচ্ছে বেশি সংখ্যক দল। সেই তালিকায় কিন্তু বাংলার নাম নেই। বাংলা এবং তেলেঙ্গানাতে কেবল একটি করে দল আসবে। এখানেই তো স্পষ্ট যে করোনা পরিস্থিতি আমরা ভালোভাবে মোকাবিলা করেছি। কেরালার পরে বাংলাই সেই মডেল যারা এই পরিস্থিতি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমরা ৫ মার্চ থেকে সবরকমের সুরক্ষা নিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। তখনও আমাদের কেউ এসব শুরু করতে বলেনি। বিজেপি বাংলাকে ভারতের উহান বলেছিল। বাংলা নাকি করোনার মূলকেন্দ্র। কিন্তু বাস্তবের সেই চিত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে।"

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গকে অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত করার অভিযোগ তোলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ বলেন, "কেন্দ্রের উচিত ছিল রাজ্যের বকেয়া অনুদানগুলি দেওয়া এই সময়ে। কিন্তু তার বদলে কেন্দ্রের নীরবতা আমাদের অদ্ভুত লাগছে। অর্থনীতির দিক থেকে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বাংলা। সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে।' সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বাংলাকে নিয়ে অনেকে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে। এর আগে দুটি কেন্দ্রীয় দল অনুসন্ধান করে দেখেছেন রাজ্যে। কিন্তু তাঁরা কিছু পাননি যে বাংলা পিছিয়ে আছে তা বলার। অভিযোগ করারও কিছু পাননি। মুখ্যমন্ত্রী পথে নেমে যেভাবে মানুষকে বুঝিয়েছেন তা আর কোথাও হয়নি। বাংলার সাফল্য নিঃসন্দেহে অনেক উপরে। মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু অন্যান্য রাজ্যের মত নয়।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc coronavirus