Fake Vaccination Camp: ২৬ জুন শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে একটা চিঠি পাঠান। সেই চিঠির বিষয়বস্তু ছিল রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা জাল টিকাকরণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ। খানিকটা সেই চিঠিকে মান্যতা দিয়েই ভুয়ো টিকাকরণে কড়া অবস্থান নিয়ে নবান্নকে চিঠি পাঠালো স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদীকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন।
সেই চিঠিতে উল্লেখ, ‘গণ টিকাকরণে একমাত্র কোউইন পোর্টাল হোক নথিভুক্তির মাধ্যম। যারা টিকা নিতে আগ্রহী তাঁদের তথ্য থাকবে পোর্টালে, বিনিময়ে টিকা নেওয়ার পর মেসেজ পাবেন গ্রহীতারা। এর বাইরে টিকাকরণ মানেই সেটা জাল।‘ তাই কসবা-সহ রাজ্যের অন্যত্র জাল টিকাকরণে তদন্ত করে আগামি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।
কসবা-কাণ্ড চাউর হতেই স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে দরবার করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি চিঠি লেখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের মন্ত্রককে।
এদিকে, কসবা কাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের পোর্টালে টিকাকরণের তালিকা নথিভুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তালিকার বাইরে কোনও টিকাকরণ হলে, সেই উদ্যোগ ভুয়ো। এমনটাই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। এদিকে, টিকাকরণ জোর কদমে শুরু হলেও এখনও রাজ্যে টিকা ঘাটতি রয়েছে। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পায়নি বাংলার প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষের বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে এবার নয়া ফর্মুলা আনল মমতা প্রশাসন।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান রাজ্যে যে পরিমাণ টিকা আসবে তার ৫০ শতাংশ বরাদ্দ থাকবে শুধুমাত্র দ্বিতীয় টিকা হিসাবে। অর্থাৎ যাঁদের দ্বিতীয় টিকা বাকি তাঁদের দেওয়া হবে সেই টিকা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, রাজ্যে কোভিশিল্ডের মোট দ্বিতীয় টিকা বাকি রয়েছে ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৮৫ জনের।কোভ্যাক্সিনের মোট দ্বিতীয় টিকা বাকি রয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ১৬২ জনের।
প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কলকাতার পুর কমিশনার ও সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও সুপারদের এই নয়া নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মিলছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ৫০% ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকবে দ্বিতীয় ডোজের জন্য, এমনটাই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন