ভোট-সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বেগ বিভিন্ন মহলে। এরই মঝে এবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সমান অনুপাতে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন রাখা হোক বলে প্রস্তাব হাইকোর্টের। মঙ্গলবার রাজ্যের সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চের তরফে করা মামলায় এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।
বুথে-বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না থাকলে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে, এই আশঙ্কা করেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চ। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতেই বুথে-বুথে রাজ্য পুলিশ ও আধাসেনা সমান অনুপাতে মোতায়েনের প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
আরও পড়ুন- ‘খেলায় যেই জিতুক ট্রফি ঘরেই থাকবে’,পঞ্চায়েতে ‘ঐতিহাসিক লড়াই’ দেখার অপেক্ষায় বাংলা!
এরই পাশাপাশি ভোট গণনা পর্যন্তও যাতে রাজ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে সেব্যাপারেও প্রস্তাব দিয়েছে হাইকোর্ট। বিএসএফ-এর আইজিকে এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করতে বলা হয়েছে। বুধবার তাঁকে এবিষয়ে তাঁর বক্তব্য আদালতে জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ব্যথায় কাবু, প্রচারে যাওয়ার পথে বন্দে ভারত থেকে নেমেই এক ছুটে মেডিক্যালে মন্ত্রী
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে একের পর হিংসায় উত্তাল হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। এখনও পর্যন্ত ভোট-সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন ১৪ জন। বহু মানুষ একাধিক সংঘর্ষে জখম হয়েছেন। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে টানা কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রবল হিংসা ছড়ায়।
আরও পড়ুন- চাইলেই দোরগোড়ায় গঙ্গাসাগরের ‘গঙ্গা জল’, পুণ্যার্জনের অভূতপূর্ব সুযোগ মুঠোয়
শাসকদল তৃণমূলকেই এই গণ্ডগোলে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার হয় বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি শুরু থেকেই করে চলেছিল বিরোধীরা। শেষমেশ আদালতের হস্তক্ষেপে আধাসেনা দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে বঙ্গে। আগামী ৮ জুলাইয়ের ভোটে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে রাজ্যজুড়ে।