আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে দরবার ডিএ আন্দোলনকারীদের। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবি ও নিজেদের সুরক্ষার দাবিতে পঞ্চায়েত ভোটে বুথে-বুথে আধাসেনা চেয়ে রাজ্যপাল এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও চিঠি ডিএ আন্দোলনকারীদের। এমনকী বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে আধাসেনা চেয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনেও দরবার করেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুললেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। অন্যান্য সাধারণ নির্বাচনের মতোই পঞ্চায়েত ভোটেও কাজ করতে হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। অনেক ক্ষেত্রেই ভোট চলাকালীন রাজনৈতিক হিংসার মধ্যে পড়ার আশঙ্কা থাকে ভোটকর্মীদেরও। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও হিংসা হতে পারে বলে প্রবল আশঙ্কা ডিএ আন্দেলানকারী রাজ্য সরকারি কর্মীদের। সেই কারণেই শুধুমাত্র রাজ্য পুলিশের উপরেই আর আস্থা রাখতে পারছেন না তাঁরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- ‘টাকায় কেনা চাকরি’ টিকোতে মরিয়া চাকরিচ্যুতরা, আবেদন ডিভিশন বেঞ্চে
এই দাবিতে সোমবার ডিএ-র ধর্নামঞ্চ থেকে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আধাসেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, এই একই দাবিতে রাজ্যপাল ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও তাঁরা চিঠি দিয়েছেন। সোমবার ডিএ ধর্নামঞ্চ থেকে আন্দোলনাকারীদের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের দফতরে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনেও এই একই দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পডুন- ‘বড়বাবুকে থানাতেই আটকে রাখব’, পুলিশকে চরম বার্তা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার
উল্লেখ্য, বকেয়া ডিএ না পেলে এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে অংশই নেবেন না বলে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। রাজ্য সরকার ৩ শতাংশ ডিএ দিতে রাজি হলেও তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। বরং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দিন যত এগোচ্ছে আন্দোলনের সুর ততই চড়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে কাল ‘বোমা ফাটাতে চান’ শুভেন্দু, সভা-বাতিলে BJP ফের হাইকোর্টে
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কলকাতার শহিদ মিনারের পাদদেশে একটানা ৪৬ দিন ধরে অবস্থান-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। এরই পাশাপাশি টানা ৩২ দিন ধরে চলছে অনশন-আন্দোলনও। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অনশন আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন।