বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলক বিতর্কে এবার মাঠে নামল কেন্দ্রীয় সরকার। শিক্ষামন্ত্রকের তরফে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হল কঠিন নির্দেশ। তড়িঘড়ি সেই নির্দেশ কার্যকর করতেও বলা হয়েছে। বিশ্বভারতীকে কী বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে?
Advertisment
শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসানো আগের ফলকটি সরিয়ে ফেলতে হবে। নতুন একটি ফলক বসাতে হবে। সেই ফলকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীর নামও যেমন থাকবে না তেমনই রাখা যাবে না উপাচার্যের নামও।
নয়া ফলকে কোন কোন নাম থাকবে, তা ঠিক করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শিক্ষা মন্ত্রকের সেই নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এর আগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলক বসানোকে কেন্দ্র করে তুমুল হইচই বাধে। উপাচার্য থাকাকালীন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নতুন একটি ফলক বসান। বিশ্বভারতীর হেরিটেজ তকমা পাওয়া পরেই সেই ফলক বসানো হয়। ওই ফলকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামের পাশাপাশি উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নামও ছিল।
সেই ফলকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের কোনও উল্লেখ ছিল না। তা ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। রাজ্য সরকারও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এহেন পদক্ষেপের কড়া নিন্দায় সরব হয়। বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দিকে দিকে তৈরি হয় ক্ষোভের পাহাড়। যদিও কিছুদিন আগেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
এদিকে, এতদিন ফলক বিতর্কে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এবার তুমুল বিতর্কের কারণে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেই ফলক সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।