ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ণের জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করল রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা, জুন মালিয়া, দেব সহ বাংলার ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় জলশক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত জানিয়েছেন, 'দেখছি., চিন্তা করব'। বৈঠক শেষে কেন্দ্রের এই আশ্বাসেই আশাবাদী রাজ্যের প্রতিনিধি দল।
Advertisment
মঙ্গলবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ রাজ্যের মন্ত্রী মালস ভুঁইঞা জানান, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান যাতে দ্রুত তৈরি হয় সেজন্য ভীষণভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রতিবছর বন্যার ফলে ওইসব এলাকার মানুষের ফসল, বাড়ি-সম্পত্তি সহ বহু জিনিসের ক্ষতির কথা জানানো হয়েছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্প বাস্তবায়ণের জন্য যত দ্রুত সম্ভব অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে রাজ্যও তার বরাদ্দের নির্দিষ্ট অর্থ দেবে। ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট পোগ্রাম অনুযায়ী কেন্দ্র প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ অর্থ ও বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ দেবে রাজ্য। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়িত না হলে কোনওভাবেই ঘাটাল ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের রেহাই নেই সে কথাও বলা হয়েছে।
এদিন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা বলেন, "ভাঙন নিয়ে নির্দিষ্ট নীতি বলেছি কেন্দ্রকে। ভাঙন কবলিত এলাকায় বা বন্যায় বাঁধ ভাঙলে গুর্গতদের পুনর্বাসন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। উনি গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন সব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন বিষয়টি দেখব, চিন্তা করব। আমরা আশাবাদী এবার কিছু কাজ হবে। তবে যতদিন না এই প্ল্যান বাস্তবায়িত হয় ততদিন আমরা লেগে থাকব।"
বর্ষায় ঘাটালের বন্যা প্রতি বছরের সমস্যা। চরম অসুবিধান পড়েন মানুষ। এর থেকে মুক্তি দিতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের পরিকল্পনা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন হয়নি। কে তা হল না? এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য রাজ্যের সাংসদ, মন্ত্রী ও বিধায়কদের দিল্লি পাঠাবার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই প্রতিনিধি দলই এ দিন বৈঠক করে কেন্দ্রীয় জলশক্তিমন্ত্রীর সঙ্গে।