/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/04/letter.jpg)
চারটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত একটিরও জবাব মিলল না। ঠিক কী ভাষাতেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে ফের চিঠি দিলেন এ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র। ১৯ এপ্রিল রাজ্য সরকারকে পাঠানোর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি উদ্ধৃত করে চরম অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে এদিনের চিঠিতে। এ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা পিপিই এবং প্রয়োজনীয় পুলিশি নিরাপত্তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে এই সব ধরনের (লজিস্টিক) সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
Inter-Ministerial Central Team (IMCT) leader in West Bengal writes to State Chief Secretary, complains of non-cooperation by West Bengal Government and inadequate security provided. pic.twitter.com/CHK77J34Kr
— ANI (@ANI) April 25, 2020
এ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় দলের নিরাপত্তা নিয়েও বড় রকমের প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রাজ্য প্রয়োজনীয় পুলিশি ব্যবস্থা না করলে আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দলের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দলের নিরাপত্তারত বিএসএফ জওয়ানরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃংখলা মেনে পদক্ষেপ করতে পারবেন কি না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এই চিঠিতে। রাজ্যে লকডাউন জারি থাকায় কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা যেখানে ছিলেন সেখান তাঁকে এমনিতে বেরতে পারবেন না, বেরলে কেবল বিমানবন্দরেই যেতে পারবেন। এমন কথাটি ২১ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিসিপি পদমর্যাদার কোনও অফিসার বিএসএফ আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন কি না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া ২২ এপ্রিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যে বিষয়গুলি জানতে চাওয়া হয়েছে তার উত্তরও এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানতে চাওয়া হয়েছে
চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, পূর্বে পাঠানো কেন্দ্রীয় দলের চিঠির উত্তরে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজীব সিনহা বলেন, "কেন্দ্রীয় দলের প্রশ্নের উত্তর দেবে স্বাস্থ্যবিভাগ। প্রশাসনিক ব্যবস্থা সংক্রান্ত প্রশ্ন থাকলে আমরা জবাব দেব, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে স্বাস্থ্য দফতর জবাব দেবে”। তিনি আরও বলেন, "আমরা কেন্দ্রীয় দলকে সবরকম সহযোগিতা করছি”।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন