তিন দিনের রাজ্য সফরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ প্রতিনিধি দল। যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের এই দল ইয়াস বিধস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, পাথরপ্রতিমা ঘুরে দেখেন তারা। জলপথে পরিদর্শন করে এলাকা। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। মঙ্গলবাড় দিঘা যাবেন তারা। বুধবার দিল্লি ফিরে মন্ত্রকে ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবে এই বিশেষ দল।
জানা গিয়েছে, এদিন দুটি দলে ভাগ হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিধস্ত এলাকা পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় দলে। একটি দল আকাশপথে পাথরপ্রতিমা পৌঁছন। অপর একটি দল সড়কপথে গোসাবা পৌঁছয়। ঘুরে দেখেন বিদ্যাধরী নদী তীরবর্তী গ্রাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব এসকে শাহি এই দলের নেতৃত্বে। পূর্ব মেদিনীপুর গিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলবে এই কেন্দ্রীয় দল। রাজ্য ছাড়ার আগে অর্থ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা।
এদিকে, ফি বছর ঘূর্ণিঝড়-প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে রাজ্যের। বারবার ভাঙছে নদীবাঁধ, ক্ষতি হচ্ছে উপকূলবর্তী এলাকার। ঘরবাড়ি হারাচ্ছেন মানুষ। বারবার বাঁধ ভাঙার ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে নবান্নে ইয়াস পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মমতা। বারবার ক্ষয়ক্ষতির জেরে রাজ্যের ব্যাপক টাকা অপচয় হচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বারবার বাঁধ কেন ভাঙছে, লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতি বছর জলে যাচ্ছে। নদীবাঁধ ভাঙন রুখতে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য এলাকায় ভ্যাটিভার ঘাস ব্যবহার করতে হবে। দিঘায় সৌন্দর্যায়নের ভিত্তিটাই ভুল হয়েছে। দিঘার চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে দায়িত্ব নিতে হবে।” এদিন তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকৃতিই সহায়ক কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি রুখতে প্রকৃতিগত ভাবে তা সামলানোর ব্যবস্থা করা হবে।”