আর কয়েক মাসের অপেক্ষা। সিআরপিসি ও আইপিসি-র ব্যাপক অপব্যবহার রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র মারফত এই খবর তিনি পেয়েছেন বলে বুধবার কোলাঘাটে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
Advertisment
এদিন কোলাঘাটে বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'এই রাজ্যে সিআরপিসি, আইপিসি-র ব্যাপক অপব্যবহার হচ্ছে। তবে কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে। তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলি যে ভাবে আইনের অপব্যবহার করছে, তা খুব শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে। আমি যেটুকু আমার সূত্র মারফত জানতে পেরেছি, আর বড়জোড় দু-তিন মাস লাগবে এই জিনিস বন্ধ হতে।'
রাজ্যে পুলিশকে ব্যবহার নিয়ে তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এর আগে বহুবার সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি। অন্যান্য বিরোধী দলও একই অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে। বাংলার পুলিশ প্রশাসন শাসক দলের দলদাসে পরিণত হয়েছে বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলো। সেই প্রেক্ষাপটে সিআরপিসি ও আইপিসি-র অপব্যবহার রুখতে কেন্দ্রের অবস্থান নিয়ে বিরোধী দলনেতার এই ঘোষণা বিশেষভাবে তাৎপর্যবাহী।
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরে ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুনের অভিযোগ তুলে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। যা সফল বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। জেলার পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তাঁর হুঁশিয়ারি, 'আমাদের নির্দেশ ছিল, পুলিশের নীচুতলার কর্মীরা যাতে কোনওভাবে শারীরিকভাবে আক্রান্ত না হন। আমাদের কর্মীরা সেই কাজ করেননি। কারণ, সবটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে হচ্ছে। পুলিশের নীচুতলার কর্মীরা উপলক্ষ্য মাত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করছেন অমর নাথের মতো কিছু দলদাস আইপিএস অফিসার। তাঁদের ব্যবস্থা আমরা ঠিক সময়ে আইনি পথে করব।'
এদিন গেরুয়া দলের বিক্ষোভ, অবরোধ তুলতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার।।