ডেল্টা ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তে নাজেহাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশে। বিশ্বের সঙ্গে ভারতেও লাফিয়ে দিয়ে বাড়ছে সংক্রমন। এমন পরিস্থিতিতে, যে কোন মূল্যে তৃতীয় ঢেউ রোখা সরকারের কাছে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। নতুন বছরের প্রথম দিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুধু কলকাতায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৩৯৮ জন। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের সবকটি রাজ্যকে শনিবার ফের নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্র। নয়া নির্দেশিকায় অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল তৈরিতে জোর দিতে বলা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে কাজে আসবে এই আস্থায়ী হাসপাতালগুলি বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। হটাত করে আছড়ে পড়েতে পারে তৃতীয় ঢেউ। তাই আর কোন খামতি রাখতে চাইছে না সরকার। ইতিমধ্যেই দেশ দেখেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকালে চিকিৎসা ব্যবস্থার বে আব্রু দৃশ্য। বেড, সেই সঙ্গে অক্সিজেন সংকটে নাজেহাল দশা দেখে আতঙ্কে শিউরে উঠেছিল দেশবাসী। তাই এবার আগেভাগেই সবরকম সর্তকতা সেরে রাখতে চাইছে প্রশাসন।
বাংলার সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে অন্যান্য রাজ্যের সংক্রমণও তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, মুম্বাইও। রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কবার্তাও। তাই এবার সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি পাঠিয়ে নতুন সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। চিঠিতে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করে বেড বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে নিকটবর্তী হোটেলগুলিকে কাজে লাগাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক জেলায় স্বাস্থ্য দপ্তরের কন্ট্রোল রুম তৈরি করে সংক্রমণ পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে।
এর সঙ্গে সে সকল রোগী আইসোলেশনে রয়েছেন তাদের যাবতীয় দেখভালেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে রাজ্যগুলিকে চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, বিশেষ প্রয়োজনে যে সকল করোনা আক্রান্ত বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন তাদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাই অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অক্সিজেন ও ওষুধের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। যে সব স্বাস্থ্যকর্মী তথা সামনের সারির কর্মী কোভিড সংক্রমণ রুখতে কাজ করছেন, প্রয়োজন মতো তাঁদের নিভৃতবাসে পাঠাতে বলা হয়েছে।