রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক টিম। বগটুই গ্রামে 'গণহত্যা'র তদন্তে আগেই সিএফএসএল-কে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বগটুই গ্রামে পৌঁছে যান সেন্ট্রাল ফরেন্সিক টিমের বেশ কয়েকজন সদস্য। বগটুইয়ে তৃণমূল উপপ্রধান খুনে মূল অভিযুক্ত সোনা শেখের বাড়িতেই প্রথমে ঢোকেন তাঁরা।
গ্রামের পুড়ে যাওয়া সব বাড়িগুলি থেকেই চলবে নমুনা সংগ্রহের কাজ। এদিকে গ্রাম জুড়ে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পুড়ে যাওয়া সব বাড়িগুলির পাশাপাশি বগটুই গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তেও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট আজই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের নৃশংস এই গণহত্যার তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে। গ্রাম থেকে মেলা নমুনা পরীক্ষার পর সেব্যাপারে যাবতীয় তথ্য এবার সিবিআই আধিকারিকদের হাতেই তুলে দেবেন সিএফএসএল-এর আধিকারিকরা।
শুক্রবার বগটুই কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রামে পৌঁছে যান সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবোরেটরির বেশ কয়েকজন কর্মী। তাঁদের সঙ্গেই এদিন গ্রামে আসেন বর্ধমান আদালতের বিচারক। শুরু হয় নুমনা সংগ্রহের কাজ।
আরও পড়ুন- বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
বগটুই গণহত্যা নিয়ে আজই সিবিআই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ৭ এপ্রিলের মধ্যে সিবিআইকে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট জমার নির্দেশ উচ্চ আদালতের। ''ন্যায়বিচারের স্বার্থে এবং মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। সিট আর এই মামলার তদন্ত করবে না। ন্যায়বিচারের স্বার্থে সিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। বগটুইয়ের ঘটনায় সব ধৃতকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে।'' এদিন বগটুই মামলার শুনানিতে এমনই জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।