পুলিশের অভিযোগ ওড়ালেন আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালী তিওয়ারি। পুলিশকে লেখা একটি চিঠি তিনি প্রকাশ্যে এনেছেন। সেই চিঠিতেই ১৪ ডিসেম্বর কম্বল বিলি কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়। ওই কর্মসূচি সামলাতে পুলিশকেও উপযুক্ত বন্দোবস্ত করবার জন্য আবেদনও জানানো হয়েছিল।
পুলিশের দাবি আগেই উড়িয়েছিলেন আসানসোলের বিজেপি নিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পুলিশকে কর্মসূচির কথা জানালেও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা এড়ানো যায়নি বলেই দাবি করেন বিজেপি নেতা। আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় গতকাল চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চ থেকে বেশ কয়েকজনকে কম্বন বিতরণ করেন। এরপর বিরোধী দলনেতা মঞ্চ ছাড়েন। তখনই কম্বল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক জন শিশু ও ২ জন মহিলা। গুরুতর জখম হয়েছেন ৫ জন।
আরও পড়ুন- সিপাহি বিদ্রোহেরও আগে প্রতিষ্ঠিত, দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি কালী মন্দিরে দেবী সদাজাগ্রত
এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের তরফে বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বিজেপি ওই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বলে অভিযোগ তোলা হয়। এমনকী আসানসোলের পুলিশ কমিশনারও অভিযোগ করে জানান বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙায় সভা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানানো হয়নি।
যদিও পুলিশকে ওই কর্মসূচির কথা ১৫ দিন আগেই জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এরপর আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালী তিওয়ারিও তাঁর নিজের প্যাড থেকে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ্যে এনেছেন। গত ৩ ডিসেম্বর সেই চিঠি লেখা হয়েছিল আসানসোল উত্তর থানার ওসিকে-। ১৪ ডিসেম্বর বিজেপির কম্বল বিলি কর্মসূচির কথা জানানো হয় সেই চিঠিতে। সেই চিঠিই তিনি থানার আধিকারিককে পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন।