চাকরি বাতিলকাণ্ডে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন ববিতা সরকার। কলকাতা হাইকোর্টর বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ববিতার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। ডিভিশন বেঞ্চ ববিতাকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে।
মঙ্গলবারই স্কুলশিক্ষিকার চাকরি হারিয়েছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা ববিতা সরকার। সেই চাকরি দেওয়া হয়েছে ওই শহরেরই আরেক পরীক্ষার্থী অনামিকা রায়কে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরিতে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। পরে ববিতা সরকারের করা মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্কুলশিক্ষিকা পদ হারিয়েছিলেন অঙ্কিতা। সেই চাকরি ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর নম্বর কেলেঙ্কারিক অভিযোগে ববিতারও চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
কোন যুক্ততে ডিভিশন বেঞ্চে ববিতা?
ববিতা সরকারের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের ক্যাটাগরি বিবেচনা করে চাকরিহারা ববিতা সরকারের ৫ শতাংশ ছাড় পাওয়ার কথা। এই ছাড় মিললে ববিতার নাকি চাকরি বাতিল হতে পারে না। পাল্টা ববিতার জায়গায় চাকরি পাওয়া অনামিকা রায়ের দাবি, এই নম্বরের ছাড়ের আওতায় তিনিও পড়েন। মামলা হওয়ায় অনামিকা আদালতে তাঁর যুক্তি তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। এখন দেখার ডিভিশন বেঞ্চে ববিতার যুক্তি আদৌ গুরুত্বপূর্ণ কিনা।