ছুটির রবিবারের সকাল থেকেই মূলত দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় মেঘলা আকাশ, কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ক্রমেই চওড়া হচ্ছে। শহর কলকাতা-সহ লাগোয়া দুই ২৪ পরগনার ছবিটা একই। কালীপুজোর ঠিক আগে সিত্রাং আতঙ্ক বাংলার একাংশ-জুড়ে। যদিও আবহাওয়া দফতরে সর্বশেষ আপডেটে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ এখনও বাংলাদেশের দিকেই রয়েছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে সম্ভবত বাংলাদেশেই আছড়ে পড়তে চলেছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। তবে ল্যান্ডফলের আগের প্রভাব কতটা পড়বে এরাজ্যে? তা নিয়েই বাড়ছে চিন্তা।
আলোর উৎসবের রোশনাই ফিকে করতে দুয়ারে সিত্রাং। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আছড়ে পড়ার আশঙ্কাই সবচেয়ে বেশি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে মূলত দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায়। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগামী ২৪ অক্টোবর অর্থাৎ কালীপুজোর দিন থেকে বৃষ্টি শুরু হবে। ২৫ অক্টোবরও চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের জেরে বৃষ্টি বেশি হবে। দুই ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও। এছাড়াও সপ্তাহের প্রথম দু'দিন হাওড়া, হুগলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল।
আরও পড়ুন- কালীপুজোর বাজির কারবার দফারফা, স্টলের পর স্টল ফাঁকা, কারবারিদের হাঁসফাঁস অবস্থা
বৃষ্টির সঙ্গেই ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে একাধিক জেলায়। সোমবার কালীপুজোর দিন দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এছাড়াও ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে শহর কলকাতাতেও। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতা শহরেও। হাওড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও কালীপুজোর দিন সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আগামী মঙ্গলবার সকালে নিম্নচাপটি বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সময় তার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত।