এভারেস্টের চূড়া ছুঁলেও চিন্তার শেষ নেই চন্দননগরের পিয়ালি বসাকের। মাথায় লক্ষ-লক্ষ টাকা দেনা রয়ে গিয়েছে। এজেন্ট, শেরপাদের টাকা মেটানো হয়নি। বাকি পড়ে আনুষাঙ্গিক বহু খরচও। সামিট শেষ করে এখনও বাড়ি ফেরা হয়নি চন্দননগরের এই কীর্তিময়ীর। তবে পিয়ালির বাড়ি ফেরার আগেই তাঁর জন্য টাকার জোগাড়ে নেমে পড়েছে চন্দননগরের ফটকগোড়া পূজো কমিটি।
বাংলার গর্ব চন্দননগরের পিয়ালী বসাক। রবিবার এভারেস্ট সামিট করার একদিন পর লোৎসে সামিটে পিয়ালি। এখনও অবধি কোনও ভারতীয় মহিলা এই সামিট করতে পারেননি। সেটা পিয়ালিই করে দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ২০১৮ থেকে ২০২২-এর মধ্যে তিনিই একমাত্র বাঙালি মহিলা যিনি চার-চারটি ৮ হাজারি শৃঙ্গ জয় করেছেন। তবে এই মুহূর্তে দারুণ অর্থ সংকটে রয়েছেন পিয়ালি বসাক।
পিয়ালির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এভারেস্ট সামিট করতে তাঁর প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বেশিরভাগ টাকাটাই ধার করতে হয়েছে তাঁকে। এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে কীর্তি গড়লেও এই মুহূর্তে পিয়ালির মাথায় রয়েছে লক্ষ-লক্ষ টাকার দেনা। সেই দেনা মেটাতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সংস্থা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন তাঁরই এলাকার ফটকগোড়া জগদ্ধাত্রী পূজো কমিটি। পুজো কমিটির প্রবীণ সদস্যরা ব্যাগ হাতে রাস্তায় নেমেছেন পিয়ালির জন্য। চন্দননগরের গর্ব পিয়ালির জন্য টাকা তুলছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- আরও বাড়বে গরম, বৃষ্টি নিয়ে কী আপডেট হাওয়া অফিসের?
এভারেস্ট সামিট করতে তাঁর প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বেশিরভাগ টাকাটাই ধার করতে হয়েছে তাঁকে। এছাড়াও আনুষাঙ্গিক খরচ ধরলে বাকি আরও কয়েক লক্ষ টাকা। বেশ কিছু টাকা উঠলেও এখনও অনেক টাকাই ওঠেনি। এই মুহূর্তে পিয়ালির ১২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। ওই টাকা না দিলে এভারেস্ট জয়ের শংসাপত্র পাওয়াটাও সমস্যার হতে পারে।
ঘরের মেয়ের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে চন্দননগরের বেশ কিছু সংগঠন। চন্দননগরের বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পূজো কমিটিগুলির অন্যতম ফটকগোড়া সর্বজনীন। তাঁরাও পিয়ালির পাশে দাঁড়িয়েছে। পূজো কমিটির সদস্য সুবীর হাজরা বলেন, ''পিয়ালির জন্য কিচু টাকাও যদি আমরা তুলে দিতে পারি, তাহলেও তাঁর উপকার হবে। সেই কতা ভেবেই আমাদের এই প্রয়াস।''