চলছে রামমন্দির উদ্বোধনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। বাংলার আলোকসজ্জাতে সেজে উঠছে রামমন্দির সহ রাম নগরী। বাংলায় আলোতেই কি সাজতে চলেছে অযোধ্যার রামমন্দির? এনিয়ে চর্চা ছিল বিস্তর। অবশেষে রাম মন্দির উদ্বোধনের মাত্র ৭ দিন আগে চন্দননগর থেকে ১৫০ আলোক শিল্পীকে নিয়ে অযোধ্যায় পৌঁছেছেন প্রবাদ প্রতীম আলোক শিল্পী মনোজ সাহা।
চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোয় আলোকসজ্জা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন আলোর শহর চন্দননগরে ভিড় জমান। এবার ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে চলেছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। রাম মন্দির সেজে উঠেছে চন্দননগরের আলোতে।
চন্দননগরের আলোকসজ্জার জগৎজোড়া খ্যাতি। দুর্গাপুজোয় প্রথম বারের জন্য লন্ডন শারদ উৎসব সেজে উঠেছিল চন্দননগরের আলোকসজ্জায়। এবার বহু প্রতীক্ষিত রামমন্দিরও সেজে উঠেছে চন্দননগরের আলোকসজ্জায়। খুশির হাওয়া ফরাসডাঙ্গায়।
হাতে আর মাত্র একটা দিন। ২২ জানুয়ারিতেই অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। নিজের হাতেই রামলালাকে নতুন মন্দিরে প্রবেশ করাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী! জমকালো আয়োজন চমকে দেবে। ট্রাস্ট-এর তরফে জ্জানানো হয়েছে, উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যজমানের ভূমিকা পালন করবেন। অর্থাৎ পুজোর আয়োজনের অনেকটাই তিনি নিজে হাতে করবেন।
দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে ঋষি-সাধুরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন সাত হাজারের বেশি বিশিষ্ট মানুষজন। দেশের একাধিক পবিত্র নদীর জল দিয়ে শ্রী রাম লালার মূর্তিকে স্নান করানো হবে। এত আয়োজনের মাঝে অযোধ্যা সাজছে বাংলার আলোয়। প্রতিবারই নবরাত্রি আর দশেরা উপলক্ষে সেজে উঠে গোটা অযোধ্যা। গত আট বছর ধরেই সেই বরাত পেয়ে এসেছে চন্দননগরের সাহা ইলেকট্রিকস। দীপাবলীর আগেই অযোধ্যা সাজাতে ৬৫ জনের একটি দল সেখানে গিয়ে তাক লাগানো আলোকসজ্জায় সকলকে চমকে দিয়েছেন। এবার রামমন্দিরের আলোসজ্জার গুরুদায়িত্ব সাহা ইলেকট্রিকস'র কাঁধেই ।
জানা গিয়েছে, মন্দির এবং মন্দিরে প্রবেশের রাস্তা সেজে উঠবে চন্দন নগরের আলোয়। ফিরোজাবাদ থেকে অযোধ্যার রামমন্দির প্রবেশ দ্বার পর্যন্ত সাজানো হবে আলোকমালায়। এছাড়া পদ্মফুলের আকারের আলোয় থাকবে রাস্তার দুপাশে। প্রায় ৩০০ আলোর গেট থাকবে রাস্তা জুড়ে।
আরও পড়ুন: < Ram Mandir Inauguration: প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে ‘রঙিন অযোধ্যা’, কবে থেকে ভক্তদের জন্য খুলবে রাম মন্দির? >
সাহা ইলেকট্রিকের কর্ণধার মনোজ সাহা বলেন, ‘দীর্ঘ আট বছর ধরে দীপাবলী-ধনতেরাস ও নবরাত্রি উপলক্ষ্যে অযোধ্যা নগরীর ১০ কিলোমিটার রাস্তার আলোকসজ্জার দায়ভার নিয়ে আসছি। বছরের পর বছর বাংলার আলোকসজ্জা চমকে দিয়েছে সেখানকার মানুষজনকে। রামমন্দিরের উদ্বোধন ২২ জানুয়ারি। ইতিমধ্যেই রামমন্দির বাংলার আলোয় সাজিয়ে তোলার জন্য ১৫০ জন শিল্পী রওনা দিয়েছেন। গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে কাজ'।মনোজ বাবু আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিক রাম মন্দিরের আলোকসজ্জার বরাত পেয়েছি এর থেকে আনন্দের কিছু হয় না। কোটি কোটি মানুষ সরাসরি বাংলার অপরূপ আলোকসজ্জার সাক্ষী থাকবেন’।