অবসর গ্রহণের দুমাস আগেই চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির ইস্তফা দিলেন। কয়েক দিন আগেই এই আইপিএস অফিসারের স্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। স্বভাবতই তাঁর ইস্তফা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে তিনিও কি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন? আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন? এই সব প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও রাজনীতি যোগের প্রশ্নের জবাবে ধোঁয়াসা রেখেছেন এই দুঁদে আইপিএস।
দুমাস পরে অবসর নেওয়ার কথা ছিল চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবিরের। শুক্রবার তিনি তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপরই রীতিমতো গুঞ্জন শুরু হয় রাজ্য-রাজনীতিতে। তবে রাজনীতি যোগ প্রসঙ্গে হুমাযুন কবির বলেেছ্ন, "জল্পনা হতেই পারে। তবে এখনই কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে আমার নাম সবাই জানে, রাজনীতিতে যোগ দিলে সবাই জেনে যাবে।" বাম জমানায় হাত কাটা দিলীপকে গ্রেফতার করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন এই পুলিশ আধিকারিক। তাছাড়া লেখালেখি, সিনেমা জগতের সঙ্গেও তিনি যুক্ত।
অবসর প্রসঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত কাজের কথা বলেছেন তিনি। তিনি লেখালেখি করবেন, সৃষ্টিমূলক কাজ করবেন, তাছাড়া সিনেমার সঙ্গেও তিনি যুক্ত রয়েছেন। তাই এই সব কাজের জন্য সময় বের করতেই ইস্তফা বলে হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন। ডিসেম্বরে আইজি পুলিশ পদে উন্নীত হয়েছেন এই প্রোমোটি আইপিএস। জানা গিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি এই পদে যোগ দিচ্ছেন কলকাতা পিুলিশের জয়েন্ট কমিশনার(এস্টাব্লিশমেন্ট) গৌরব শর্মা।
প্রশাসনিক মহলের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেক নজরে রয়েছেন হুমায়ুন কবির। তাছাড়া কিছু দিন আগে তৃণমূল ভবনে তাঁর স্ত্রী ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবিরের বক্তব্য, "আমি ব্যক্তিগত মতামতে বিশ্বাস করি। তাই স্ত্রীর ব্যাপারটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত মতামত।" বাংলার রাজনীতিতে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস ও আইপিএসদের নির্বাচনে দাঁড়ানো নতুন কোনও বিষয় নয়। প্রাক্তন আমলারা অনেকেই বিধায়ক বা সাংসদ শুধু নয়, মন্ত্রীও হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, অবসরের মাত্র দু মাস আগে চাকরিস্থল থেকে ইস্তফা দেওয়ায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তারওপর সামনেই বিধানসভা নির্বাচন।