ভাগাড়ে পচা মাংসকাণ্ডের স্মৃতি ফিরল। পচা মাংস বাজেয়াপ্ত ঘিরে আবারও শোরগোল পড়ে গেল। হুগলির চন্দননগরে জি টি রোডের কাছে একটি দোকানে হানা দিয়ে প্রায় ১০০ কেজি পচা মাংস উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দোকানের মালিককে। পুলিশ সূত্রে খবর, সামনেই চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো। উৎসবের মরশুমে হুগলি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী পচা মাংস বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ। আর তা রুখতেই বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ চন্দননগর জিটি রোডের কাছে লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে মণ্ডল বয়লার সেন্টার নামে একটি দোকানে হানা দিয়ে ওই দোকানের মালিক নারায়ণ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ১০০ কিলো পচা মুরগির মাংস। আজ ধৃতকে আদালতে পেশ করা হবে। উল্লেখ্য, কালীপুজোর আগের রাতে এরকম অভিযান চালিয়ে দু’জন মুরগি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে প্রায় ৩০০ কিলো পচা মাংস মিলেছিল বলে খবর।
আরও পড়ুন: রাজস্থান-গুজরাটে মারা গেলে মুসলমান, আর কাশ্মীরে হলে বাঙালি: দিলীপ ঘোষ
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, জগদ্ধাত্রী পুজোর আগে হুগলি জেলায় বেশ কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী জাঙ্ক ফুডে পচা মাংস মিশিয়ে বিক্রি করছেন। দামও নেন চড়া । এরকম অভিযোগ গতবারও এসেছিল। সে কারণেই পচা মাংস বিক্রি রুখতে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট প্রথম থেকেই সক্রিয় হয়েছে। অতিরিক্ত কমিশনার গুলাম সারওয়ারের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ চুঁচুড়া, চন্দননগর ,ভদ্রেশ্বরজুড়ে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। হানা দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মাংসের দোকানগুলিতে। পুলিশের সঙ্গে অভিযানে থাকছেন ফুড সেফটি অফিসাররাও।
উল্লেখ্য, গত বছর ভাগাড়ের পচা মাংস ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কলকাতা ও শহরতলীতে। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও পচা মাংসের কারবার রমরমিয়ে চলত বলে টের পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।