এমন কীর্তির কোনও প্রশংসাই যেন যথেষ্ট নয়! টোটোচালকদের অসামান্য উদ্যোগকে কুর্ণিশ!
টোটোচালকদের এমন কীর্তির প্রশংসা করেছে সমাজের বিভিন্ন মহল। অন্যদিকে টোটোচালকরাও এমন মহান কাজে সামিল হতে পেরে খুব খুশি। আগামী দিনে আরও বড় আকারে এমন উদ্যোগ নেওয়ার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
টোটোচালকদের এমন কীর্তির প্রশংসা করেছে সমাজের বিভিন্ন মহল। অন্যদিকে টোটোচালকরাও এমন মহান কাজে সামিল হতে পেরে খুব খুশি। আগামী দিনে আরও বড় আকারে এমন উদ্যোগ নেওয়ার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
এই সেই টোটোচালকরা। যাদের নজিরবিহীন উদ্যোগ সাড়া ফেলে দিয়েছে।
প্রবল শীতে পিকনিকের মজাই আলাদা। কিন্তু কখনও পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকা কিংবা পকেটের টানেও অনেকে এই আনন্দোৎসবে সামিল হতে পারেন না। আর তাই পিকনিকের বাঁধবাঙা উচ্ছ্বাসের স্রোতে গা ভাসাতেও পারেন না অনেকেই। তবে কেউ কেউ বোধ হয় সে খেয়ালও রাখেন।
Advertisment
এঁরা একদল টোটোচালক। মফস্বলে এখন বাড়ির বাইরে পা রাখলেই এদের দেখা আগে মেলে। সেই টোটোচালকরাই এবার নিজেদের উপার্জনের টাকায় এক অবাক নজির গড়েছেন। হুগলির চন্দননগরের একদল টোটোচালকের এহেন কীর্তির প্রশংসায় বিভিন্ন মহল।
নিজেদের উপার্জনের টাকায় তাঁরা হোমের কচিকাচাদের নিয়ে পিকনিক করলেন। চন্দননগর তেমাথা জোড়াঘাট টোটোস্ট্যান্ডের ৩০ জন টোটোচালক হোমের আড়াইশো শিশুর জন্য নৈশভোজ খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করেছিলেন। এছাড়াও শিশুদের মনোরঞ্জনে তাঁরাই উদ্যোগী হয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছিলেন।
Advertisment
মহানন্দে পিকনিকের ভোজে এক ছোট্ট শিশু।
চন্দননগরের ঐতিহ্যের প্রবর্তক সেবা নিকেতনের আবাসিকেরা টোটোচালক 'কাকু'দের এমন আদরে বেশ খুশি। মজাদার এই পিকনিকে হোমের ছোট-ছোট শিশুরা পাত পেড়ে ভীষণ খুশিতে খেয়েছে ফ্রায়েড রাইস, আলু ফুলকপির তরকারি, ডিমের ডেভিল, মুরগির মাংস। মেনুতে ছিল চাটনি, পাপড়, মিষ্টিও। এই পিকনিকের রান্না, পরিবেশন সবটাই মহানন্দে করেছেন তেমাথা জোড়া ঘাট টোটোস্ট্যান্ডের টোটোচালকেরা।
তাঁদের এমন উদ্যোগে আপ্লুত প্রবর্তক সেবা নিকেতনের কর্ণধার পরিমল ব্যানার্জি। তিনি বলেন, "আমরা খুব খুশি।" টোটোচালকদের পক্ষে সন্তু মণ্ডল বলেন, "আমাদেরও খুব ভালো লাগছে। শিশুগুলিকে একটু আনন্দ দিতে পেরে আমরাও খুব খুশি। আগামী দিনে ওদের নিয়ে আরও বড় অনুষ্ঠান করব।"