পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে হিংসার আগুন জ্বলেছে বাংলায়। শুধু ভোটের দিনেই ঝরে গিয়েছে ১৬টি প্রাণ। বিরোধীদের উসকানিতেই বেনজির এই হিংসা, এমনই অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। ভোট-সন্ত্রাস নিয়ে চন্দ্রিমার নিশানায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়াও ভোট-হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তুমুল সমালোচনায় সরব রাজ্যের আর এক মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাংলা জুড়ে। জেলায়-জেলায় বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট, সংঘর্ষ, ভাঙচুর তো ছিলই। মুড়ি-মুড়কির মতো মানুষ খুন হয়েছেন গতকাল। শাসকদল তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের কর্মীরা নিহত হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে ভোট ঘিরে বেনজজির হিংসা ছড়িয়েছে গতকাল।
আরও পড়ুন- ‘খুন সন্ত্রাসের বলি রাজ্যবাসী, শুধু একজনই আছেন নিশ্চিন্তে!’, বিস্ফোরক অধীর
নজিরবিহীন এই পরিস্থিতির জন্য বিরোধীদের দায়ী করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এক্ষেত্রে তাঁর নিশানা থেকে বাদ পড়েননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'বিরোধীদের প্ররোচনাতেই পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা। হিংসার বলি সব থেকে বেশি তৃণমূলকর্মীরা। বিরোধীদের সঙ্গে মিলে রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্র হয়ে প্ররোচনা দিয়েছেন।'
আরও পড়ুন- ভোটের পরের দিনেও ফের মৃত্যু! বেনজির হিংসার বলি বাসন্তীর তৃণমূলকর্মী
কলকাতা হাইকোর্ট পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দূরবীণ দিয়ে দেখতে হয়েছে। বিএসএফ-এর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে স্পষ্ট কোনও পরিকল্পনাই করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। স্পর্শতাকাতর বুথের তালিকাই দেওয়া হয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়েছে কমিশন। তবে বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছিল কোর্ট। কোথায় গেল? কেন এতগুলো তৃণমূলের কর্মী খুন হল?'।