New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/Cheetah-1.jpg)
খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ। ছবি- সন্দীপ সরকার।
চা বাগানে আরও একটি চিতাবাঘ লুকিয়ে রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ। ছবি- সন্দীপ সরকার।
ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ। সোমবার সকালে চিতাবাঘটি খাঁচাবন্দি করা হয় শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির হাতভরা জোতে। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক থরহরি কম্প দশা হয়েছিল। এলাকায় আরও একটি চিতাবাঘ রয়েছে বলে অনুমান স্থানীয়দের। তবে আপাতত একটি চিতাবাঘ ধরা পরায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে স্থানীয় বাসিন্দারা। চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে।
গত দু'দিন আগে শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির হাতভরা জোতের একটি চা বাগানে দুটি চিতাবাঘকে দেখতে পান চা শ্রমিকরা। এরপর থেকেই এলাকায় ব্যপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় চা বাগানের স্বাভাবিক কাজকর্ম। সন্ধ্যার পর থেকেই চিতাবাঘের আতঙ্কে শুনসান হয়ে পড়ত গোটা এলাকা। চা বাগানে চিতাবাঘের উপস্থিতির খবর দেওয়া হয় বাগডোগরা বন দফতরের কর্মীদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বনকর্মীরা হাতভরা জোতের বিভিন্ন জায়গায় চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখে নিশ্চিত হন এলাকায় রয়েছে একাধিক চিতাবাঘ।
সেই মতো চা বাগানে তল্লাশি চালিয়ে চিতাবাঘের সন্ধান না মেলায় রবিবার বিকেলে চা বাগানের পাশে চিতাবাঘ ধরতে খাঁচা পাতে বাগডোগরা বন দফতর। চিতাবাঘ ধরতে দেওয়া হয় ছাগলের টোপ। আর তাতেই বাজিমাত।
রাতেই ফাঁদে পা দেয় এলাকার 'ত্রাস' এক ডোরাকাটা। ছাগলের লোভে খাঁচায় ঢুকতেই বন্দি হয়ে যায় চিতাবাঘটি। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান খাঁচায় ধরা পড়েছে একটি চিতাবাঘ। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চিতাবাঘ দেখতে ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাগডোগরা বন দফতরের কর্মীরা। চিতাবাঘ দেখতে উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশ ও বনকর্মীদের।
পরে চিতাবাঘটি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। সেখানে চিতাবাঘটিকে সুস্থ করে ছাড়া হবে জঙ্গলের গভীরে। খাঁচায় ছটফট করার জেরে চিতাবাঘটির মুখে আঘাত লেগেছে বলে বনদফতর সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মিলন ওরাও জানিয়েছেন, তাঁরা চা বাগানে কাজ করার সময় দুটো চিতাবাঘকে দেখেছেন। এই কারণে তাঁরা আতঙ্কে যেতে পারছেন না কাজে। এদিকে, চিতাবাঘ ধরা পরায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও আরও আরও একটি চিতাবাঘ এলাকায় থাকার কারণে আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, অন্য চিতাবাঘটিকে ধরতেও আবার এলাকায় খাঁচা পাতা হোক।