জঙ্গলমহলের নেতা ছত্রধর মাহাতর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজার নির্দেশ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সাজা কমিয়ে ছত্রধরকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে বন্দি রয়েছেন ছত্রধর। হাইকোর্টের নয়া নির্দেশ অনুযায়ী এ বছরেই শেষ হচ্ছে সাজার মেয়াদ। ফলে শীঘ্রই মুক্তি পেতে পারেন ছত্রধর মাহাত। তবে শুধু ছত্রধর নয়, সগুন মুর্মু, শম্ভু সোরেন, সুখশান্তি বাস্কেরও সাজার মেয়াদ কমিয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। সম্ভবত এই সেপ্টেম্বরেই মুক্তি পেতে পারেন ছত্রধররা। অন্যদিকে, প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ও রাজা সরখেলকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত।
আরও পড়ুন: আজই বিজেপিতে শোভন চট্টোপাধ্যায়? তুমুল জল্পনা
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে শালবনীতে জিন্দল কারখানার শিল্যান্যাস সেরে মেদিনীপুরে ফেরার পথে ভাদুতলায় ৬০ নং জাতীয় সড়কে মাওবাদীদের ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের মুখে পড়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়৷ এরপর থেকেই লালগড় কার্যত মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয় পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতকে।
আরও পড়ুন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি ভুয়ো এমবিএ পাশ? সমন আদালতের
পরবর্তী সময়ে ইউএপিএ ধারাতেও দোষী সাব্যস্ত করা হয় ছত্রধর মাহাতকে। ২০১৫ সালের ১২ মে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ছত্রধরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় মেদিনীপুর আদালত। মেদিনীপুর জেলা চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক কাবেরী বসু সাজা ঘোষণা করেন। ইউএপিএ আইনে ছত্রধর মাহাত ছাড়াও সুখশান্তি বাস্কে, সগুন মুর্মু, শম্ভু সোরেন, রাজা সরখেল এবং প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের যাবজ্জীবন সাজা হয়। বর্তমানে ইউএপিএ ধারায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন ছত্রধর৷