Advertisment

দুই দশকেও বিচার হল না, মারা গেলেন ছোট আঙারিয়ার মূল সাক্ষী বক্তার মণ্ডল

২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি, বক্তারের বাড়িতেই হত্যা করা হয় পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ছোট আঙারিয়া কাণ্ডের মূল সাক্ষী বক্তার মণ্ডল

দুই দশক আগের রক্তাক্ত ইতিহাস। দীর্ঘ মামলার মূল সাক্ষী মারা গেলেন রবিবার। পশ্চিম মেদিনীপুরের ছোট আঙারিয়া কাণ্ডের মূল সাক্ষী বক্তার মণ্ডল রবিবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি, সদ্য জন্ম নেওয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের এই গ্রামে বক্তারের বাড়িতেই ঘটেছিল গণহত্যা। ৫ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়, দাবি করেছিলেন বক্তার। মোক্তার খাঁ, রবিয়াল ভাঙি, হায়দার মণ্ডল, জয়ন্ত পাত্র এবং মুক্ত পাত্র (ভোঁদা) নামে পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে।

Advertisment

এদিন বক্তারের মৃত্যুর খবর পেয়ে ছোট আঙারিয়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে যান গড়বেতার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ। জানা গিয়েছে, সকালে বাজারে গিয়েছিলেন বক্তার। বাজার থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ বোধ করেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই বক্তারের মৃত্যু হয়। ব্লক তৃণমূলের তরফ থেকে তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।

জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। প্রত্যেক বছর ৪ জানুয়ারি ছোট আঙারিয়ায় শহিদ দিবস পালন করা হয়। বক্তারের পরিবারের পাশে থাকবে দল।" উল্লেখ্য, ছোট আঙারিয়া গণহত্যা মামলা এখনও বিচারাধীন। মেদিনীপুর দেলা আদালতে এখনও চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের পর দিল মহম্মদ গ্রেফতার হন এই মামলায়। তার পর নতুন করে তদন্ত শুরু করে সিবিআই।

আরও পড়ুন জোড়া-ফুলে ফিরেই ‘কাকা’কে তোপ ‘ভাইপো’র, ‘আমি গদ্দার’- দাবি সুনীলের

প্রসঙ্গত, এই মামলায় প্রথমে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের অনেকেই বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছেন। সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর ধীর গতিতে চলছিল তদন্ত। তবে মামলার প্রধান সাক্ষী বক্তারের মৃত্যুতে মামলার ভবিষ্যৎ এখন বিশ বাঁও জলে।

tmc CPIM Choto Angaria Baktar Mandal
Advertisment