আমফান তান্ডবে বাংলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা মাপা গেলেও আমফান পরবর্তী ক্ষতির মাত্রা অনেকটাই বেশি। মাছ, শাক-সবজির পর এবার বাজার আগুন মুরগির দামেও। আর এতেই চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে মধ্যবিত্তের। সাধ্যের মধ্যে থাকা পোলট্রির মুরগির দামের বাড়বাড়ন্তে মুখ ফেরাতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক ক্রেতাই।
এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
বিক্রেতারা জানিয়েছেন আমফানের দাপটে ভেঙে গেছে বহু পোলট্রি ফার্ম। অনেক খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাঁস, মুরগি অনেক প্রাণীও মারা গিয়েছে। আর তারই প্রভাব পড়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মুরগির মাংসের দাম। অথচ এই লকডাউন শুরুর সময় করোনাভাইরাসের ভয়ে যে মুরগি বিক্রি হয়েছিল ৮০টাকা প্রতি কেজি দরে আজ সেই মুরগি বিকোচ্ছে ২৮০ টাকা প্রতি কেজিতে। কলকাতার প্রায় সমস্ত বাজারে মুরগির মাংসের দাম কেজি প্রতি পঞ্চাশ থেকে ষাট টাকা বেড়েছে। পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও চিত্রটা কম বেশি একই।
এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক ক্ষেত, জমি। উত্তর ২৪ পরগণার একাধিক জেলায় বৃষ্টির দাপট, বাঁধ ভাঙা জলে ভেসে গিয়েছে বহু ক্ষেত। মাথায় হাত কৃষক থেকে জমির মালিকদের। এদিকে হিমঘরে সবজির স্টকও লকডাউনের বাজারে শেষের পথে। অতঃপর আগামী দিনে সবজির দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনাও প্রবল। সেই আবহে মুরগির মাংসের দাম ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি হওয়ায় বাজারে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার।
এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
অন্যদিকে লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়েছে মাছের চালান। তারপর ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে ভেড়ির মাছ মরেছে পাল্লা দিয়ে। ফলে যোগান কম হওয়ায় হুহু করে বেড়েছে মাছের দাম। যে মাছে ভাতে বাঙালি আগে মাছ ঝুলিয়ে ফিরত সেই বাঙালিই আজ ব্যাজার মুখে বাজার থেকে ফিরছেন। লকডাউনের নিয়মে শিথিল হলেও বাজারের এই ক্ষতি মেরামত করতে যে আরও অনেকটাই সময় লাগবে পশ্চিমবঙ্গের এমনটাই মত অভিজ্ঞ মহলের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন