আলিপুরে আজ 'সৌজন্য' আর্ট অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদেশি অতিথি তথা শিল্পপতিদের জন্য সবরকম সুবিধা এখানে থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "বিদেশি রাষ্ট্রদূত বা প্রতিনিধি, শিল্পপতিরা এখানে থাকতে পারবেন। এর আগে শিল্পপতি বা ডিপ্লোম্যাটদের সঙ্গে মিট করার এমন জায়গা ছিল না। সমস্ত সুবিধা এখানে থাকছে। এই জায়গাটা আমিই খুঁজে বের করেছি। কলকাতায় এসে তাঁরা বলতে পারবে না এই সুবিধা নেই।"
কী রয়েছে সৌজন্যে? পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ভবন নির্মান করতে খরচ হয়েছে ১৮০ কোটি টাকা। জি প্লাস টু বিল্ডিং, মোট ১ লক্ষ স্কোয়ার ফুটের ওপর গড়ে উঠেছে। এখানে রয়েছে ব্যাঙ্কয়েট, সিএমও, ন'টি অত্যাধুনিক সুইট, ফুড কোর্ট। এছাড়া সৌজন্য সাজানো গোছানোর জন্য কয়েক কোটি টাকার শোপিস ও নানা শিল্পকলা কেনা হয়েছে। এককথায় ছোট পরিসরের অথচ উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের একেবারে আদর্শ ক্ষেত্র।
আরও পড়ুন: সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিবস উদযাপন নিয়ে ইউজিসি-র সঙ্গে সংঘাতে রাজ্য
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "নবান্নের পাশে উপান্ন নামে আর একটি অ্যানেক্স বিল্ডিং করছি। সল্টলেকে ইতিমধ্যে শুভান্ন করেছি। উত্তীর্ণের পাশে ধনধান্য অডিটোরিয়াম করছি। তা এক-দেড় বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। মিলন মেলা প্রাঙ্গনে আন্তর্জাতিক মানের এক্সিবিশন সেন্টার হচ্ছে।"
শুধু কনভেনশন সেন্টার বা প্রদর্শশালা নয়, শহরে একাধিক উড়ালপুল নির্মানের কাজও শুরু হবে। তিনি বলেন, "কলকাতায় আরও অনেকগুলো নতুন উড়ালপুল হবে। কালীঘাটেও একটি স্কাইওয়াক করার চেষ্টা করছি। টালিগঞ্জ, যাদবপুর, ঢাকুরিয়া, শ্যামবাজার, বিভিন্ন জায়গায় ফ্লাইওভার হবে। জল, ব্রিজ, রাস্তার উন্নয়নের জন্য বাড়তি ১৮,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাজেটে ২৫,০০০ কোটি টাকা ধরা আছে।" তিনি আরও জানান, বজবজ-মহেশতলা উড়ালপুল কয়েক দিনের মধ্যে উদ্বোধন হবে।
নিউটাউনে বেশ বড় ধরনের আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজনও করেছে রাজ্য সরকার। এবার দীঘাতেও ওই ধরনের কনভেনশন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "দীঘাতেও একটা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার করছি। কাজ প্রায় শেষের দিকে। কখনও সমুদ্রের ধারে অনেক শিল্পপতিরা বৈঠক করতে চান। পর্যটনেরও সুযোগ রয়েছে। আমরা গত সাত বছরে ঢেলে পরিকাঠামো উন্নয়ন করেছি।"
ভাঙড়-২, রাজারহাট ও হাড়োয়াতে পানীয় জল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ১,০০০ কোটি টাকার। পিএইচই এই প্রকল্প করছে। সৌজন্য থেকে এদিন ওই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মমতা।