চোট পেয়েছিলেন গত ২৭ জুন। এরপর গত বৃহস্পতিবারই (৬ই জুলাই ২০২৩) এসএসকেএমে মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রপচার করে ফ্লুইড বার করা হয়। তারপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত পাঁচ দিনে কিছুটা সুস্থ হয়েছেন তিনি। তাই আর ঘরে বসে প্রশাসন পরিচালনা নয়, পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের পর দিনই নবান্নে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে দ্রুত নয়, ধীরে ধীরে চলাফেরা করতে দেখা যায় তাঁকে। এদিন গাড়ি থেকে নেমে আস্তে আস্তে লিফট পর্যন্ত পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলপ্রকাশ প্রক্রিয়া বুধবারই সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়েই গত ২৭ জুন জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে আকাশ পথে বাগডোগরা ফেরার পথে দুর্যোগের কবলে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। জরুরি ভিত্তিতে সেটিকে নিকটস্থ সেনা এয়ার বেসে অহতরণ করাতে হয়। সেই সময়ই কোমরে এবং পায়ে মারাত্মক চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। বিমান বাগডোগরা থেকে কলকাতায় পৌঁছতেই তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তার পর থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। হাসপাতালে থাকতে রাজি না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতেই চলছিল ফিজিওথেরাপি। এরপর হয় অস্ত্রপচার। তারপরও তিনি বাড়িতেই ছিলেন।
আরও পড়ুন- নওশাদ সিদ্দিকির স্বস্তি, ধর্ষণ মামলায় কী নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের?
এসবের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। জয় পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু কোনও কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শানা যায়নি। তাই প্রশ্ন ছিল, কবে সুস্থ হয়ে ফের নবান্নে ফিরবেন বাংলার 'দিদি'? অবশেষে প্রায় ২ সপ্তাহ পর বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে এলেন।
এসএসকেএমের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনও কয়েকদিন মুখ্যমন্ত্রীর ফিজিওথেরাপি চলবে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই চোট নিয়ে অবশ্য আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'ভোট এলেই মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে কেন চোট লাগে?'