সোমবার মমতার মন্ত্রীসভার শপথগ্রহণের পর সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতিকে অগ্রাধিকার এওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড যুদ্ধে কেন্দ্রকে যেমন বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলেছেন, তেমনই রাজ্যবাসীকেও আর্থিক সাহায্য দানের বিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
কী কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
- এবারের জনাদেশ উন্নয়ন, সম্প্রীতি, সৌভ্রাতৃত্বের জনাদেশ। আমি ও আমার মন্ত্রীরা মাথা পেতে এই রায় গ্রহণ করেছি। এবার আমাদের প্রথম লক্ষ্য বাংলায় কোভিড পরিস্থিতি ঠিক করা।
- আমরা মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ। সব ধর্মের মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন। আমরা বিভেদ চাই না, আমরা ঐক্য চাই। এই রায় শান্তির, সম্প্রীতি, উন্নয়ন, সংহতি রায়।
- ইতিমধ্যে অনেকেই এগিয়ে এসেছে। বেসরকারি সংস্থারা তাঁদের হাউসগুলিকে আইসোলেশন ওয়ার্ড করতে এগিয়ে এসেছে। কোভিড হাসপাতালে জন্য একটা বিল্ডিং দিচ্ছে সেন্ট জেভিয়ার্স।
- লকডাউনের ঘোষণা না করে, লকডাউনের মতো সাধারণ মানুষকে আচরণ করতে হবে। কারণ লকডাউন ঘোষিত হলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। দরিদ্র মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাবেন, সেটা আমরা চাই না।
- কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিয়ে সাহায্য করছে না। টিকা দিয়েও সাহায্য করছে না। তিন কোটি টিকা চেয়ে পেয়েছি মাত্র ১ লক্ষ। কেন্দ্রীয় সরকার কেন ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেও টিকা দিতে পারছে না, জানি না।
- কোভিড-পরিকাঠামো তৈরি করতে গেলে যেন জিএসটি না নেওয়া হয়। দেশের ৬৫ শতাংশ ভ্যাকসিন বাইরে গেলে, অন্য দেশ থেকে আনাতে হবে। কোথা থেকে ভ্যাকসিন আনানো হবে, কেন্দ্র ঠিক করুক। এ জন্য সুস্পষ্ট নীতির দরকার।
- বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ১ কোটি ভ্যাকসিন দেব। রাজ্যের সবাইকে নিখরচায় ভ্যাকসিন দেব।
- যাঁরা মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি, তাঁদের কমিটির মাথায় বসানো হবে। বিধানসভার ডেপুটি চিফ হুইপ হচ্ছেন তাপস রায়। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হচ্ছেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন