/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/12/MAMATA-BANERJEE-AND-POUSMELA.jpg)
ভার্চুয়ালি মেলার উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তিন বছর পর অবশেষে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে ফিরল পৌষমেলা। এবারের বিকল্প পৌষমেলা সম্পর্কে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই পুণ্যস্থান কেউ কলুষিত করুক, সেটা বরদাস্ত করা হবে না। মানুষও পৌষমেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত খোলা মনে গ্রহণ করেনি।' তবে, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের বদলে বীরভূম জেলা প্রশাসন এই পৌষমেলা আয়োজন করছে। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি মেলা উদ্বোধন করেছেন।
উদ্বোধনের আগে ছাতিমতলায় রীতি অনুযায়ী বিশেষ গানের মধ্যে দিয়ে পৌষ উৎসবের সূচনা করেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক। রীতি মেনেই ছাতিমতলা থেকে বিশেষ পদযাত্রা হয়েছে। যা শেষ হয় 'উদয়ন' বাড়িতে। সেসব মিটতেই মুখ্যমন্ত্রী পৌষমেলার ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'গোটা বিশ্বের প্রতি কবিগুরুর বিরাট অবদান রয়েছে। তাঁর গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ, গানটি আজও বিশ্বজনীন। কেউ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই স্থানকে কলুষিত করার চেষ্টা করবেন না। সতর্কতার সঙ্গে এই মেলা পরিচালনা করা দরকার।'
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পরবর্তীতে এবছর অবশ্য বিশ্বভারতী পৌষমেলা আয়োজনে রাজি হয়েছিল। কিন্তু, হাতে অল্প সময় থাকায় এত কম সময়ের মধ্যে মেলা আয়োজনে ভরসা পায়নি আয়োজক শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তারপরই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানায়, এবছর পৌষমেলা হবে না। কিন্তু, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মেলা হবে শুনে বিক্রি বাড়বে, সেই আশায় ছিলেন। তাঁরা বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরই জেলা প্রশাসন মেলা আয়োজনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। আগের দু'বছর হয়েছিল ডাকবাংলো মাঠে। এবার ফিরল তার পুরাতন জায়গা পূর্বপল্লির মাঠে। সেই অনুমতি দিয়েছে বিশ্বভারতী।
আরও পড়ুন- স্বামী বিবেকানন্দ বামপন্থী ছিলেন? গীতা নিয়ে মন্তব্যে বিতর্কের তুবড়ি ফাটালেন সুকান্ত!
মোট পাঁচ দিন মেলা চলবে। দেড় হাজারের বেশি পুলিশ নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। সঙ্গে বসেছে ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি। বহু ছোট স্টল ইতিমধ্যেই মেলায় বসে গিয়েছে। ছোট ব্যবসায়ীরাও মেলা শুরু হওয়ার খবর পেয়ে আসছেন। সব মিলিয়ে এবারের পৌষমেলা জমজমাট হবে বলেই আশা করছে প্রশাসন।