পায়ের চোটের জন্য অন্যবারের মত এবার সরাসরি মঞ্চে গিয়ে দুর্গাপুজো উদ্বোধন করেননি। জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনের ক্ষেত্রেও সেই একই সিদ্ধান্ত বহাল রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে তিনি সশরীরে হাজির থাকবেন না। তবে, চন্দননগরের বেশ কয়েকটি জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করবেন। কিন্তু, সেটা ভার্চুয়ালি।
জগদ্ধাত্রী পুজোর এখনও দিন পনের বাকি। প্রতিবছর চন্দননগরে বেশ বড় আকারে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। সেই জন্য ইতিমধ্যেই হুগলির এই প্রাক্তন ফরাসি উপনিবেশে সাজো সাজো রব পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই চলছে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগদান। শনিবারই সকালে চন্দননগর বাগবাজারের এক বেসরকারি লজে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান করেছেন রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতিমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন। সেখানেই তিনি এবারের জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে চন্দননগরে সশরীরে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিত না-থাকার কথা জানিয়েছেন।
যদিও এবারই প্রথম নয়। করোনাকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী সশরীরে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো উদ্বোধনে আসছেন না। শেষবার জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে এবং উদ্বোধন করতে এসেছিলেন বছর তিনেক আগে। অবশ্য, দুর্গাপুজোয় যেমন পায়ের চোট ছিল, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় মুখ্যমন্ত্রীর তেমন কোনও সমস্যা নেই বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি জানিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শারীরিকভাবে সুস্থই আছেন। দিন দুয়েক আগে রাজভবনে বিজয়া করতে গিয়েও সাংবাদিকদের তেমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তাঁর পায়ের চোট ঠিক আছে।
এবারে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা হবে ২৩ নভেম্বর। ষষ্ঠী-সপ্তমী পড়েছে একদিনে। তাই ২০ থেকে ২২ নভেম্বর অবধি সারারাত ধরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখার ঢল নামবে হুগলির এই মহকুমা শহরে। কম-বেশি প্রায় ২০০-র কাছাকাছি জগদ্ধাত্রী পুজো হয় চন্দননগর, মানকুণ্ড, ভদ্রেশ্বর অঞ্চলে। তার মধ্যে এবারও বেশ কিছু বারোয়ারি পুজোয় জুবিলির ছড়াছড়ি। কলকাতার দুর্গাপূজার বেশ কিছু মণ্ডপ এবার ঢুকছে চন্দননগরে। জিটি রোড-জুড়ে এখন তোরণ টাঙানোর প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন- ইডেনে টিকিট কেলেঙ্কারিতে চরম অসন্তুষ্ট রাজভবন, নজিরবিহীন পদক্ষেপ রাজ্যপালের
চন্দন নগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা তৈরি। শহরের কোনও রাস্তা যেন খারাপ না থাকে, তার দিকে নজর রাখছি। পাশাপাশি জল, বিদ্যুৎ, দমকলের মতো আপদকালীন দফতরগুলির সঙ্গেও আলোচনা চলছে।' অন্যদিকে পুলিশ, প্রশাসনের অন্যান্য বিভাগও নিজেদের মত করে বৈঠক করছে। চন্দননগর কর্পোরেশনের মেয়র পারিষদ (পূর্ত) অনিমেষ ব্যানার্জি দিনরাত এককরে সব ঘুরে দেখছেন। নজর রাখছেন, কোথায় রাস্তা-ঘাট খারাপ আছে। খানাখন্দ থাকলেই, তা জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের নির্দেশ দিচ্ছেন।