ল্যাংচার দোকানের সামনে থেকে অপহৃত বছর পাঁচেকের শিশু। পরে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে অপহরণকারীরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য এলাকার একটি ঝোপ থেকে গাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই শিশুকে। এই অপহরণের সঙ্গে শিশুর বাড়ির গাড়ির চালকের যোগ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাকে আটক করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানা এলাকার আমড়ার ঘটনা।
এই দোকানের সামনে থেকেই অপহরণ করা হয় অনীশকে।
পূর্ববর্ধমানের শক্তিগড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে উপর অবস্থিত বিখ্যাত বলিরাম ওঝার ল্যাংচার দোকান অবস্থিত। রবিবার সকাল ১১ টার সময় দোকানের সামনে থেকেই পাঁচ বছরের অনীশকে অপহরণ করা হয়। ছেলেকে দেখতে না পেয়ে তার পরিবারের তরফে শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সিসিটিভিতে দেখা যায়, দুটি লাল গাড়ি পাশাপাশি দাঁড়িয়েছিল। এর মধ্যে একটি অনীশদের। অন্য গাড়িটিতে কার্যত ঠেলে তুলে দেওয়া হয় শিশুটিকে।
আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জ হত্যা রহস্য: খুনের পিছনে কি ঝাড়খণ্ডের সুপারি কিলাররা?
বিকেলে ফোনে ৫ লক্ষ টাকার মুক্তি পণ চেয়ে ফোন আসে। বলা হয়, গাড়ির চালকের হাত দিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা পাঠাতে হবে। তবেই বাচ্ছাটিকে ফেরৎ দেওয়া হবে। এরপরই বিকেলে জাতীয় সড়কের পাশে কাঁদরসোনা এলাকার ঝোপ থেকে অনীশকে উদ্ধার করা হয়। ঝোঁপে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। অনীশ জানায়, তাদের গাড়ির ড্রাইভার রাজু ওই ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়ে যায় তাকে। সারা দিন তাদেরই গাড়ির ডিকিতে গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল সে।
কাঁদরসোনা এলাকার এই ঝোপ থেকে অনীশকে উদ্ধার করা হয়।
গাড়ির চালক রাজুকে আটক করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জী বলেন, 'রাজুর সঙ্গে এই ধটনায় আর কেউ জড়িত কিনা পুলিশ তার তদন্ত করছে। শিশুটি এখন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।'