Advertisment

লাইটপোষ্টে ওঁত পেতে বিপদ, শহরে ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

প্রশাসনকে তুলোধোনা করছেন প্রতিবেশিদের

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

হরিদেবপুরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ক্লাস ষষ্ঠর এক পড়ুয়ার। বৃষ্টির জমা জলে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় তার। পরমুহূর্তেই জমা জল নামানোর কাজে হাত লাগায় কলকাতা পুলিশ।

Advertisment

এই নিয়ে জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা কম নয়। বিদ্যুতের পোলে হাত দিতেই মৃত্যু হয় সেই ছাত্রর। তবে CESC জানিয়েছে, এই পোল তাদের নয়। বরং, বিএসএনলের কানেকশন ব্যবহার করেই বিদ্যুৎ সরবরাহ হত ওই লাইনে। স্থানীয় কাউন্সিলর জানিয়েছেন, প্রতিবেশীদের সুত্রে খবর ওই বাতিস্তম্ভের নিচে বেশ কদিন আগে খোঁড়াখুঁড়ি করেছিল CESC। এই ঘটনার ফলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র এলাকায়। তাহলে এখন এড়িয়ে যাওয়ার কারণ কী?

মৃত্যুর পর কেন? আগে কেন জমা জল নামানো হয়নি? প্রশাসনকে তুলোধোনা প্রতিবেশিদের। লাইটপোস্টে হাত দিতেই সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় তাঁর। এলাকায় মাঝে মধ্যেই জল জমে, কিন্তু এই নিয়ে আগে কোনওরকম পদক্ষেপ কলকাতা পৌরসভা নেয় নি। কিংবা তাঁরা এই দুদিন ধরে জল নামানোর চেষ্টাও করেননি। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, আগে যদি এই কাজ করা হত তাহলে শিশুটির মৃত্যু হত না।

সন্ধ্যে ৬টা ১০ নাগাদ মৃত্যু হয় সেই পড়ুয়ার। ক্ষোভে বারবার প্রশাসনকে ধিক্কার জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। এই জমা জলের কোনও ব্যবস্থা আদৌ হবে কী? স্থানীয় কর্তাদের উদ্দেশ্যে একটাই প্রশ্ন তাঁদের। মৃতের মায়ের দাবি, আমার ছেলে তো চলে গেল? এখন সিএসসি বা কেউ দায় এড়ালেও কিছু করার নেই। স্থানীয় কাউন্সিলরের অনুমতি মিললেই মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

থার্ড পার্টিকে দিয়েই তদন্তের নির্দেশ। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি কাউন্সিলরের। নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। এলাকার কাউন্সিলর রত্না শূর জানিয়েছেন দোষ যারই হোক, এখন তো এসব করে লাভ নেই! বরং পরবর্তীতে যাতে এই ঘটনা না ঘটে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। জায়গা গুলো চিহ্নিত করতে হবে।

Child death haridebpur death electric post kolkata
Advertisment