উদ্বেগ কাটছে না। একের পর এক শিশু জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যায় কাবু। প্রায় প্রতিদিনই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ শিশু ভর্তির চাপ বাড়ছে। চলতি মাসেই চিকিৎসাধীন ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার পরপরই অনেক শিশুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ছে, তাতেই ঘটছে বিপত্তি। তবে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে রয়েছে বলেই দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ এখনও যায়নি। সংক্রমণের তৃতীয় ধাক্কায় শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল অনেকের। যদিও এব্যাপারে সরকারি-স্তরে এখনও কোনও স্পষ্ট তথ্য নেই। তবে উদ্বেগ রয়েই গিয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে গত কয়েকদিনে বহু শিশু জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। অধিকাংশ শিশুই চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। গত কয়েকদিনে শিশু ভর্তির চাপ বেড়ে যাওয়ায় তৎপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। বর্ধনাম মেডিক্যালে খোলা হচ্ছে আরও একটি এআরআই ( Acute Respiratory infection) ওয়ার্ড।
এর আগে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে একের পর এক শিশু জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় কাবু হচ্ছিল। আপাতত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এবার আতঙ্ক বর্ধমানে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে অসুস্থ শিশু ভর্তির সংখ্যা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১২০ শয্যার জেনারেল ওয়ার্ড ছাড়াও হাসপাতালে খোলা হয়েছে ৬৫
শয্যার এআরআই ওয়ার্ড।
ঠিক কী শারীরিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে শিশুদের? হাসসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত সদ্যোজাত শিশুরাই জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চিকিৎসা চলাকালীন ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ৬ মাসের নীচে থাকা শিশুরাই জ্বরে বেশি কাবু হচ্ছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান চিকিৎসক জানান, সদ্যোজাত শিশুরা সাধারণ ঠান্ডা লাগার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পরপরই শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করছে। ক্রমেই তা জটিল আকার ধারণ করছে।
তবে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে রয়েছে বলেই দাবি হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান কৌস্তুভ নায়েকের। তিনি বলেন, 'চলতি মাসে প্রায় ১২০০ শিশু ভর্তি হয়েছিল। ৯ জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ অক্সিজেন, বেড পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। আরও একটি ওয়ার্ড খোলা হচ্ছে। সমস্যা হবে না।'
আরও পড়ুন- বাংলার ৬ জেলায় সেঞ্চুরি ডিজেলের, দাম আরও বাড়ল পেট্রোলের
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যাই বলুন, অভিভাবকদের উদ্বেগ কাটছে না। বর্ষা শেষে হেমন্তের পরশ রাজ্যে। দুয়ারে শীত। আবহাওয়ার এই বদলে শিশুদের আরও বেশি সুরক্ষিত রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন