হাওড়ায় চেক জালিয়াতির ঘটনায় এবার পুলিশি জালে ধরা পড়ল কিংপিন। শুক্রবার নয়া দিল্লি থেকে এ ঘটনার মূলচক্রী মহম্মদ উমর(৩২)-কে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ধৃতকে তিনদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ্যে আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এ ঘটনায় আগেই ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চেক জালিয়াতি করা হয়েছে বলে গত ১৫ নভেম্বর গোলাবাড়ি থানায় এফআইআর দায়ের করেন সালকিয়ার কানাড়া ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। অভিযোগপত্রে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জানান, ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার চেক ওই শাখায় জমা পড়েছিল। ওই চেক নগদে ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৯১ টাকায় রূপান্তরিত হয়েছে। পরে জানা যায়, চেকটি আসলে ভুয়ো। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির জালিয়াতির ধারা(৪৬৫, ৪৬৭), ৪৬৮(প্রতারণার উদ্দেশ্য), ৪৭১(জাল নথি ব্যবহার), ৪২০(প্রতারণা), ১২০ বি(অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, হাওড়ায় চেক জালিয়াতিতে পাক যোগ!
ধৃতদের থেকে বেশ কয়েকটি জাল চেকবই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। যার মধ্যে ৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও ৬টি বেসরকারি ব্যাঙ্কের চেকবই রয়েছে। এছাড়াও ৩০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা বিদেশে পাঠানো হত বলেও মনে করা হচ্ছে। পরে এ ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। চেক জালিয়াতির ঘটনায় পাক যোগ সামনে আসে। পাকিস্তান ও দুবাইয়ে ধৃতদের যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, কলকাতায় ফের এটিএম থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার আর স্কিমার বসিয়ে নয়, ছোট স্কিমার হাতে নিয়েই ঘুরছে প্রতারকরা। যাদের মূলত টার্গেট প্রবীণ গ্রাহকরা। এটিএমে টাকা তুলতে সাহায্য করার বাহানায় স্কিমারের সাহায্যে হাজার হাজার টাকা তুলে নিচ্ছে প্রতারকরা। যে ঘটনায় গয়ার দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক ফ্রড বিভাগ।
Read the full story in English