শেষ পর্যন্ত সিআইডি-র হাতে ধরা পড়লেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষের দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডল। তোলাবাজির মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে নয়া দিল্লির হোটেল থেকে সুজিতকে শনিবার গ্রেফতার করেছে সিআইডি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষের ঘনিষ্ঠ সুজিতকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করেছেন সিআইডি-র আইজি(২) অশোক কুমার প্রসাদ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮৪-৩৮৫(তোলাবাজি), ৩৮৯(দণ্ডনীয় অপরাধে অভিযুক্ত করার ভীতি প্রদর্শন), ১২০ বি(অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র)-সহ বেশ কিছু ধারায় সুজিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, তোলাবাজির মামলা সামনে আসার পর থেকেই ফেরার ছিলেন সুজিত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা তিনি। গত জুলাই মাসে মুম্বইয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন ভারতীর দেহরক্ষী। সেসময় তাঁকে ধরতে পারেনি সিআইডি।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই ঘাটালের আদালতে এ মামলায় ভারতী ঘোষসহ ৮ জনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। চার্জশিটে ভারতী ঘোষকে ফেরার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীর পাশাপাশি চার্জশিটে সুজিতকেও ফেরার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জালিয়াতি, তোলাবাজি ও দুর্নীতির আইনে সকল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, পার্ক স্ট্রিটে ‘চড়’কাণ্ডে ‘মিটমাটের’ প্রস্তাব পুলিশের?
এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৪ জন পুলিশ আধিকারিক। ধৃত পুলিশকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন, ঘাটালের প্রাক্তন সার্কেল ইন্সপেক্টর শুভঙ্কর দে, দাসপুর থানার ওসি প্রদীপ রথ, ঘাটালের প্রাক্তন ওসি চিত্ত পাল ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর দেবাশিস দাস। পাশাপাশি বিমল ঘড়াই নামে ঘাটালের এক ব্যবসায়ী ও কলকাতার মাদুরদহে ভারতীর ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার রাজমঙ্গল সিংকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে দাসপুর থানায় তোলাবাজির মামলা দায়ের করেন চন্দন মাজি। পরে এ মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। ভারতীর বিভিন্ন সম্পত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা।