বাগুইআটির দুই ছাত্র খুনের তদন্তে সিআইডি। যে এলাকা থেকে দুই ছাত্রের দেহ মিলেছে সেখানেই এবার ফরেনসিক তদন্ত। ওই এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহে বিশেষজ্ঞরা। তবে দেহ মিলেছিল গত ২৩ অগাস্ট। তারপর থেকে কেটে দু'সপ্তাহেরও বেশি সময়। ওই এলাকায় অবাধে যাতায়াত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকেরই পায়ের ছাপ পড়েছে এলাকায়। শেষমেশ বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ওই দুই এলাকা দড়ি দিয়ে ঘেরে সিআইডি। তাই তদন্ত কতটা মসৃণ পথে এগোচ্ছে তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।
বাগুইআটির দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে খুনের পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি দিন। ২৩ অগাস্ট উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটের শিরীষতলার ক্যানেলের ধারে মেলে অভিষেক নষ্করের দেহ। উল্টোদিকে, হাড়োয়ার কুলটির একটি ক্যানেলর ধারে মেলে অতনু দে'র দেহ। দু'টি দেহ মেলার ১৫ দিনের মাথায় বুধবার রাতে ওই এলাকা ঘিরতে যায় সিআইডি। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই ওই দুই এলাকায় নমুনা সংগ্রহে যাবে ফরেনসিক দল। তদন্তের এই ধরন নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- শুভেন্দু-সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে CID-র চাপ দেবযানীকে, অভিযোগ মায়ের, CBI-কে চিঠি
এদিকে, বাগুইআটির দুই ছাত্র খুনে পুলিশের ভূমিকায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ভার তিনি দিয়েছেন সিআইডিকে। আগেই ক্লোজ করা হয়েছিল বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে। তাতেও জনরোষ এতটুকুও কমেনি। এরপর আরও কড়া পদক্ষেপ করে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কল্লোল ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কল্লোল ঘোষের জায়গায় বাগুইআটি থানার নতুন আইসি হয়েছেন শান্তনু সরকার। তিনি এর আগে এয়ারপোর্ট থানার আইসি ছিলেন।
আরও পড়ুন- বন্ধুত্বেও রাজনীতি! ‘মাতাল’ তৃণমূল নেতার নগ্ন ছবি ভাইরাল, কাঠগড়ায় তাঁরই বিজেপি বন্ধু
পুলিশের ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হওয়ার পরের দিনেই বিশেষ তৎপরতা রাজ্য পুলিশের। বৃহস্পতিবার ভবানী ভবন থেকে রাজ্যের সব পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা। এই ধরনের ঘটনা এড়াতে আরও বেশি সজাগ থাকার নির্দেশ পুলিশ আধিকারিকদের।