ঝাড়খণ্ডের বিধায়ক মামলায় ভিন রাজ্যে তদন্তে গিয়ে আটক বাংলার সিআইডি আধিকারিকরা। দিল্লি পুলিশের হাতে আটক সিআইডি-র চার আধিকারিক। সেই দলে রয়েছেন একজন ইনস্পেক্টর, দুজন এসআই এবং একজন এএসআই। দিল্লির সাউথ ক্যাম্পাস থানায় তাঁদের আটক করে রাখা হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি টুইট করে জানিয়েছে।
Advertisment
ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের কাছ থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার ঘটনায় তদন্ত করছে সিআইডি। সেই তদন্তে নেমে দিল্লিতে সিদ্ধার্থ মজুমদার নামে এক ব্যবসায়ীর খোঁজ পেয়েছে সিআইডি। তাঁর মাধ্যমেই কলকাতায় তিন বিধায়কের সঙ্গে টাকার লেনদেন করা হয়েছিল বলে সিআইডি সূত্রে খবর। বুধবার সাউথ দিল্লি ক্যাম্পাস থানা এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান গোয়েন্দারা।
In course of investigation of PanchlaPS Case No 276/22 a team of CID which had gone to Delhi to execute search warrant issued by Ld Court has been stopped from doing their lawful duty on the direction of @dcp_southwest. Personal intervention of @CPDelhi is requested.@DelhiPolicepic.twitter.com/xEiKFa575p
সিআইডি-র দাবি, সিদ্ধার্থর বাড়ি তল্লাশি করার জন্য তাঁদের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট রয়েছে। এছাড়াও প্রোটোকল মেনে স্থানীয় থানাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তল্লাশি চালাতে গেলে দিল্লির পুলিশ তাঁদের আটক করে বলে অভিযোগ। তাঁদেরকে থানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।
Advertisment
সিআইডি-র দাবি. হাওড়ার পাঁচলায় তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে যে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয় তাঁর অন্যতম অভিযুক্ত সিদ্ধার্থ। তদন্তের স্বার্থেই সবরকম অনুমতি, নথি নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে।
The case involves seizure of huge cash from 3 MLAs of Jharkhand. Detaining & preventing the CID WB team to conduct lawful search will lead to disappearance of crucial evidence by the suspects responsibility of which will lie on the DP officers who prevented the search. @CPDelhi
জানা গিয়েছে, সিআইডি এবং দিল্লি পুলিশের এই জট কাটাতে বুধবারই রাজ্য পুলিশের তিন শীর্ষ কর্তা দিল্লি রওনা হয়েছেন। এডিজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক এবং দুজন আইজি ব়্যাঙ্কের আধিকারিক রয়েছেন সেই দলে। সিআইডি-র দাবি, তাঁদের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট থাকা সত্ত্বেও তদন্তে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। প্রমাণস্বরূপ সেই ওয়ারেন্টের ছবি টুইট করেছে সিআইডি।