Advertisment

RG kar Incident: নিরাপত্তার চাদরে মুড়ল আরজি কর, CISF দায়িত্ব নিতেই বদলে গেল চিত্র

হাসপাতালের ২৬টি পয়েন্টকে চিহ্নিত করে ২ কোম্পানি CISF জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে।

author-image
Sayan Sarkar
New Update
RG Kar Medical College, CISF, Supreme Court

CISF in RG Kar College: হাসপাতালের ২৬টি পয়েন্টকে চিহ্নিত করে ২ কোম্পানি CISF জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল

RG kar Incident: ১৪ অগাস্ট মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে চলে তাণ্ডব। ভাংচুর চালানো হয় এমারজেন্সি সহ ১৮ টি ওয়ার্ডে। নষ্ট করা হয় লক্ষ লক্ষ টাকার ওষুধ-চিকিৎসা সরঞ্জাম। এনিয়ে শীর্ষ আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। পুলিশের ইন্টালিজেন্সি নিয়েও প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম নির্দেশে আরজি করের নিরাপত্তা হস্তান্তর করা হয় CISF-র হাতে।

Advertisment

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুরক্ষার দায়িত্ব গতকালই হাতে নেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মোতায়েন CISF। হাসপাতালের বিভিন্ন গেটে সুরক্ষার দায়িত্বে আধাসেনা। তবে হাসপাতালের বাইরের চত্বরে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির দেখভালে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। হাসপাতালের ২৬টি পয়েন্টকে চিহ্নিত করে ২ কোম্পানি CISF জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে।

তবে হাসপাতালের বাইরের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ আরজি কর হাসপাতালে ঢুঁ মেরে দেখা যায় গোটা হাসপাতাল কার্যত নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এমারজেন্সির মূল ফটকে মোতায়েন রয়েছেন CISFজওয়ানরা। হাসপাতালে প্রবেশের আগে জানতে চাওয়া হচ্ছে পরিচয়। পাশাপাশি হাসপাতালের সামনে রয়েছে কলকাতা পুলিশের র‍্যারিকেড। সেখানে মোতায়েন রয়েছেন কলকাতা পুলিশের অফিসার ও কর্মীরা। হাসপাতালের ভিতরে ওপিডি, আইসিইউ সহ ২৬টি পয়েন্টে কড়া নজর রাখছেন CISF জওয়ানরা।

আরও পড়ুন- < RG Kar Doctors Death: তদন্ত কতদূর? আদৌ বিচার পাবেন ‘নির্যাতিতা’! CBI দফতরে আরজি করের পড়ুয়া-চিকিৎসকরা >

এই মুহূর্তে হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ২ কোম্পানি CISF জওয়ান। সঙ্গে রয়েছেন বাহিনীর লেডি অফিসাররাও। তিনটি শফটে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবেন তাঁরা। হাসপাতাল চত্ত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশ আটকাতে নার্স, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে। ১৪ অগাস্ট রাতে হামলার ঘটনায় আরজি করের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়। আর সেই দাবি মেনেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে খুন ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে গর্জে উঠেছে রাজপথ। প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সমাজের সকল অংশের মানুষ। তদন্তের গতিপ্রকৃতি কতদূর তা জানতে আজ সিবিআই অফিসে যাচ্ছেন আর জি কর মেডিক্যালের আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে আজ দুপুরেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে তদন্তের বিষয় কতদূর এগোল তা জানার চেষ্টা করবেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল।

CISF RGKar medical college &amp; hospital
Advertisment