বিয়ের দাবিতে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের দিলালপুর গ্রামে৷ কালিয়াগঞ্জ থানায় কর্মরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন গঙ্গারামপুরের এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পরে যায় কালিয়াগঞ্জের বরুনা পঞ্চায়েতের দিলালপুর গ্রামে।
গঙ্গারামপুরের তিলনা বুড়িনগর গ্রামের ওই তরুণীর অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দিলালপুর গ্রামের যুবক শ্যামাপদ সরকার। এমনকী তাঁদের ঘনিষ্ঠ মেলামেশাও হয়েছিল বলে দাবি তরুণীর৷
ওই তরুণী জানিয়েছেন, অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন তাঁর প্রেমিক শ্যামাপদ। একতরফা ভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না তরুণী৷ বিয়ের দাবি নিয়ে তাই শ্যামাপদর বাড়ির সামনে ধর্না দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ এদিন সাংবাদিকদের ওই তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে শ্যামাপদ সরকার নামে ওই যুবকের বিয়ের জন্য দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল৷ বিয়ের কথাবার্তা বেশি দূর এগোয়নি। এই দেখাশোনা পর্ব থেকে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল শ্যামাপদর। ফোনে তাঁদের সম্পর্ক গভীরতা পায়। কালিয়াগঞ্জে শ্যামাপদর পাশের গ্রামেই তাঁর আত্মীয়দের বাড়ি রয়েছে৷
আরও পড়ুন- বদলির নির্দেশে ক্ষোভ, বিষ খেলেন পাঁচ শিক্ষিকা
তরুণীর দাবি, তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ মেলামেশা হয়েছিল৷ তাঁদের মেলামেশার কথা উভয় পরিবার ভালো মতোই জানেন বলে দাবি করেছেন তরুণী৷ এরই মধ্যে তিনি জানতে পারে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের রেজিস্ট্রি করেছেন শ্যামাপদ সরকার নামে ওই যুবক।
তিনি শ্যামাপদকে ভালবাসেন তাই তাঁকে বিয়ে করে সংসার করতে চান বলে জানিয়েছেন৷ সেই কারণেই এবার প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন তরুণী৷ তবে তাঁকে প্রেমিকের বাড়ির লোকজনের হাতে হেনস্থা হতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি৷ অন্যদিকে, শ্যামাপদ সরকার নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বাবা অভিরাম সরকার জানিয়েছেন, পাত্রী হিসেবে ওই তরুণীকে তাঁর ছেলের পছন্দ হয়নি৷ তাই এই সম্পর্ক নিয়ে কথাবার্তা বেশি দূর এগোয়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন