যাদবপুর-কাণ্ডের ছায়া এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি স্কুলেও। দশম শ্রেণির পড়ুয়াকে লাগাতার উত্যক্ত করার অভিযোগ স্কুলেরই দুই সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করায় হুমকি, শাসানি দিয়ে পা ধরে 'ক্ষমা' চাওয়ানোর ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অপমানে-অবসাদে আত্মঘাতী দশম শ্রেণির এই পড়ুয়া, এমনই দাবি পরিবারের। থানায় অভিযোগ দায়ের।
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার স্টিমারঘাট এলাকার। দশম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে স্কুলের দুই সিনিয়র ছাত্র লাগাতার হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। গত ২৭ জুলাই থানায় এফআইআর দায়ের করা হলেও ঘটনায় জড়িত কেউই আটক না হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবার। পুলিশের ভূমিকায় চূড়ান্ত ক্ষোভ পরিবারের।
বাড়িতেই আত্মঘাতী হয় কাকদ্বীপ সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিল ওই ছাত্রটি। অভিযোগ, স্কুলে গেলেই তাঁকে প্রায়শই উত্যক্ত করত দুই সিনিয়র ছাত্র। গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার তাঁকে হেনস্থা ও হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- যাদবপুর-কাণ্ডে ধৃত জয়দীপ, ছেলের গ্রেফতারি কিছুতেই মানতে পারছেন না মা-বাবা!
মৃত ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই মাসের শুরুতে দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার উপর অত্যাচার চরমে ওঠে। প্রতিবাদ করলে পাল্টা আরও হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এমনকী শাসানি দিয়ে সিনিয়র দুই ছাত্র দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে তাদের পা ধরে 'ক্ষমা' চাইতে বাধ্য করে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
পরিবারের দাবি, এই ঘটনার পর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকে দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। এমনকী স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তার বেশ আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। গত ১৬ জুলাই বাড়ি থেকেই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অপমান-অবসাদে ওই কিশোর আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের।