এবার ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দীকি ঘনিষ্ঠ এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে তলব করল লালবাজার। ব্যবসায়ী শেখ শামসুর আলম ভাঙড়ের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে চেন্নাইয়ে থাকেন। গত দু’দিন ধরে ব্যবসায়ী শেখ শামসুর আলমের বাড়ি এবং দফতরে তল্লাশি চালিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের তলবে আশঙ্কায় রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে মনে করছেন শামসুর। গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির আবেদন করেছেন। মামলা শোনার জন্য সম্মতি দিয়েছেন বিচারপতি। ষুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা পথ অবরোধ শুরু করলে তাঁদের হটাতে যায় পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে আইেসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল গোটা ধর্মতলা চত্বর। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর মারা, ইট ছোড়া, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশকে আক্রমণের অভিযোগ তোলে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় নওশাদ আরও ১৮ আইএসএফ কর্মী-সমর্থককে। শহর কলকাতার পৃথক তিনটি থানাতে নওশাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকেই কখনও পুলিশ, আবার কখনও জেল হেফাজতে রয়েচেন বিধায়ক নওশাদ সহ বাকিরা।
সেদিনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহেই নওশাদকে লালবাজার তলব করেছে বলে জানিয়েছেন শামসুর। চলেছে তাঁর বাড়ি ও দফতরে তল্লাশি। বিধায়কের পরিচিত হলেও ২১ জানুয়ারির ঝামেলার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী। শামসুরের অভিযোগ, শুধুমাত্র নওশাদ তাঁর পরিচিত বলেই পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে লালবাজার।