হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক ঘনিষ্ঠের। মৃত যুবকের নাম কৃষাণু দাস ওরফে কেষ্ট। বাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি রামপুরহাট থানার কুসুম্বা গ্রামে।
শনিবার সকালে কৃষাণু দাস ওরফে কেষ্ট মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাই নীহার মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করছিলেন। হঠাৎই চৌকিতে বসা অবস্থাতেই অচেতন হয়ে পরেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালে ২৯ জানুয়ারি কেষ্টর বৌভাতে হয়েছিল। ওই দিন তাঁর বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে এসে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করে গিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেষ্ট ছিলেন কুসুম্বার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিও। তথ্য সংস্কৃতি দফতরে কোটায় তাঁকে চাকরি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রামপুরহাট মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি দফতরে তিনি কর্মরত ছিলেন।

এদিন নীহার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে কৃষ্ণ আমাদের বাড়িতে আসত। চা খেতে খেতে অনেক আলোচনা হত। সেই মতো এদিনও এসেছিল। চৌকিতে বসে গল্প করছিলাম। ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে কথা হচ্ছিল। কেষ্ট বলল এবার দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমি কেক দেব। বলতে বলতেই মাথা লটকে গেল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।’
৩১ বছর বয়সী কেষ্টর এক বছরের শিশুপুত্র রয়েছে। তাঁর অকাল প্রয়াণে গ্রামে শোকের ছায়া।
[আরও পড়ুন – অভিনব, পার্টি লাইন বাঁচাতে থানায় ছুটল সিপিএম!]