বুধবার বিকেলে বিধানসভা চত্বরে বেনজির সংঘাতের আবহ তৈরি হয়। মাত্র ৩০ ফুট দূর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে 'চোর চোর' বলে স্লোগান দেন শুভেন্দু অধিকারী। গলা মেলান অন্যান্য পদ্ম বিধায়করাও। সেই সময়, বিধানসভার আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন প্রায় সব তৃণমূল বিধায়ক। ওই ধর্না থেকেও পাল্টা বিজেপিকে 'চোর' বলে দেগে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত হয় বিধানসভার পরিবেশ। পরে বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপি বিধায়কদের তোলা ধ্বনি নিয়ে মুখ খোলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
অমিত শাহর সভা শেষ হতেই বুধবার বিকেলে বিধানসভায় প্রবেশ করেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। সেই সময় বিধানসভার আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূল বিধায়করা। 'বিজেপির সবাই চোর' বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন জোড়-ফুল বিধায়করা। যা শুনেই উল্টোদিকে বিধানসভা ভবনের সিঁড়ি ও লবিতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা। সরাসরি তৃণমূলের ধর্নার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকেন, 'ডিএ চোর মমতা, চাকরি চোর মমতা।' গলা মেলান শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ অন্য বেশ কয়েকজন গেরুয়া বিধায়ক। পরে লবিতেই বসে পড়েন তাঁরা।
এরপরই ধর্না অবস্থানে ইতি টানার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই শুভেন্দু অধিকারীদের আচরণ নিয়ে মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'এটা নোংরামি, গুণ্ডামি। বিধানসভায় অসভ্যতা করছে, স্পিকারকে বলবো সব ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিতে। আমাকে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ দেখিয়ে লাভ নেই। সারাজীবন লুঠ করেছে, গদ্দারদের আমাদের কেউ ভয় পায় না। আমাদের এই ধর্না স্পিকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করা হচ্ছে। কেউ কোনও কর্মসূচি নিলে আমরা কেউ বাধা দিই না। ভোটে পাত্তা পায়নি, গোহারা হেরেছে, তাই এসব করছে।'
এরপর জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া তৃণমূলের ধর্না মঞ্চে। তারপরই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ২৪-শে দিল্লিতে মোদীকে আনুন, ২৬-শে বাংলায় আসবে বিজেপি: অমিত শাহ
আরও পড়ুন- বাংলায় DA-র ভবিষ্যৎ কী? বিধানসভায় জানিয়ে দিলেন মমতা
আরও পড়ুন- অমিত শাহর বক্তব্যে উধাও সেই হুঙ্কার, মুখে নিলেন সুরাবর্দীর নাম
আরও পড়ুন- বাংলায় DA-র ভবিষ্যৎ কী? বিধানসভায় জানিয়ে দিলেন মমতা