CM Mamata: পুরভোটে প্রস্তুতির দামামা বাজিয়ে বুধবার উত্তর ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই ভার্চুয়াল বৈঠকে জেলার পুর পরিষেবা উন্নত করতে একগুচ্ছ পরামর্শ দেন তিনি। আলোচনায় উঠে আসে আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গ। সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার আইসি-দের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠক থেকে সুন্দরবনকে পৃথক জেলা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভুয়ো সাংবাদিক এবং ভুয়ো পুলিশ ধরতে জেলা প্রশাসনকে আরও কড়া হতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
জেলাজুড়ে একাধিক ভুয়ো সাংবাদিক ঘুরছেন, এমন অভিযোগ জমা পড়ছে স্থানীয় থানাগুলোয়। সাংবাদিক না হয়েও গাড়িতে প্রেস স্টিকার লাগানো আটকাতে নাকা চেকিং বাড়াতে জেলা পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট কমিশনারেটকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইভাবে ভুয়ো পুলিশ রুখতেও চেকিং বাড়াতে বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিষয়গুলো নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়বে। আপনারা তাই চেকিং কড়া করুন।‘
পাশাপাশি এদিন তিনি পাক্ষিক এবং সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’এই পত্রিকাগুলো আঞ্চলিকস্তরে উন্নয়নে খবর মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। কোথায় কী সরকারি কাজ হচ্ছে, কীভাবে সেই কাজ থেকে মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এরাই সেই সব প্রকাশ করে। খারাপের মধ্যে থেকে ভালোগুলো বের করে এরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।‘
এদিকে, করোনা আবহে দীর্ঘদিন পর প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সাংসদ-বিধায়ক, প্রশাসনিক আধিকারিক, পুলিশকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আগামী বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি এবার থেকে ছাত্র দিবস হিসাবে পালিত হবে। তিনি বলেন, পড়ুয়ারা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের জন্য এই দিনটা উৎসর্গ করা হবে এবার থেকে।
জানা গিয়েছে, আগামী ২০ নভেম্বর রাজ্যের তরফে আয়োজন করা হবে ছাত্র মেলার। সেখানে মোট ১০ পড়ুয়াকে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, শুধু একদিনই নয়, ১৫ থেকে ২০ দিন অথবা একমাস অন্তর ছাত্র মেলার আয়োজন করা হয়। তাতে পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। এরপরই ১ জানুয়ারিকে স্টুডেন্টস ডে বা ছাত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “পড়ুয়ারাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাই বছরের প্রথমদিন পড়ুয়াদের জন্য উৎসর্গ করছি।” ওই দিন আরও একটা মেলার আয়োজন করার দিয়েছেন তিনি।
এদিন করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকেই জেলার পুর প্রশাসকদের ক্লাস নিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে বার বার অভিযোগ আসছে, আপনারা কেন এলাকার কাজকর্ম কেন দেখেন না। আপনারা তো জনপ্রতিনিধি। আপনাদের ঘুরে দেখতে হবে মানুষের সমস্যা কোথায়, কী সমস্যা সেগুলো ঠিক করতে হবে।
মমতা এদিন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিবকে নির্দেশ দেন, এই জেলার প্রত্যেক পুরসভায় একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার জন্য। যাঁরা কাজকর্ম খতিয়ে দেখবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন