Flood Situation in Bengal: ডিভিসি যেভাবে জল ছেড়েছে সেটা বড় অপরাধ। মেন মেড ক্রাইম। নবান্নে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে এভাবেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ‘ডিভিসি কতবার আমাদের ডোবাবে? ডিভিসি কেন ড্রেজিং করবে না? কেন বাঁধ সংস্কার করছে না? পুজোর সময় মানুষ উৎসব করবে, না প্রাণ বাচাবে? বছরে ৪ বার বন্যা হলে আমরা কী করব? আমরা এবার ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইব।’
Advertisment
এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ‘এত জল ডিভিসি আগে কখনও ছাড়েনি। একেবারে জল ছেড়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। উদনারায়ণপুর, আমতা ঘাটাল, ডেবরা-সহ পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানের একাধিক ব্লক জলের তলায়। আমি ঝাড়খণ্ড সরকারকে বলব বিষয়টি দেখতে। তারাও বাঁধগুলো সংস্কার করুক। আমি আবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব। আমার মুখ্য সচিবকে বলব কৃষি সচিব এবং ক্যাবিনেট সচিবকে চিঠি লিখতে।‘
তিনি বলেন, ‘কয়েকলক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। ১০ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ডিভিসি ছেড়েছে। গত দুই বছর একাধিকবার ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যা হয়েছে। আমরা সামলেছি। কেন্দ্র ক্ষতিপূরণ দেয়নি।‘ তিনি দাবি করেন, ‘আমরা কতগুলো পুকুর কেটেছি, খাল সংস্কার করছি। যাতে করে জল ধরে রাখা যায়। কিন্তু নদীর জলে প্রতিবার আমাদের ভাসিয়ে দিচ্ছে।‘
এদিকে, পুজোর আগে ক্লাবগুলোকে অনুদান নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। যেহেতু কমিশন অনুমতি দিয়েছে, তাই পুজো কমিটিগুলোকে আগের মতোই অনুদান দেওয়া হবে। এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর চার-পাঁচ দিন করোনা বিধি মেনেই উৎসবে সামিল হতে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখে মাস্ক, ঘনঘন হাত স্যানিটাইজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এমনকি, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ঠাকুর দেখতে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন