দফতরের কাজের দিকে খেয়াল রাখতে হবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। সরকারি কাজে গাফলিতি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে এমনই বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আইএস, আইপিএসদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সব জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন দফতরের শীর্ষ কর্তাদের কাছ থেকে সরকারি কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে এদিন বিস্তারিতবাবে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী।
সরকারি কাজ সময় ও নিয়ম মেনে করতে হবে। এই কাজে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে আরও একবার স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ''উপর তলার অফিসাররা নিচের তলায় কাজ হয়ে যাওয়ার রিপোর্ট পাঠায়। নিচের তলায় কাজ ঠেলে দেন। এমনটা চলবে না। দফতরের কাজের খেয়াল রাখতে হবে।''
এরই পাশাপাশি করোনা সম্পর্কে আরও বেশি সচেতনতামূলক প্রচারে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে বলে জানিয়ে ওই প্রকল্পে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, ছাত্রছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই প্রকল্পে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে লোন পান। সরকারই লোনের গ্যারান্টার থাকে। তবে গত কয়েক মাসে এই প্রকল্পে ব্যাঙ্ক থেকে লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ার একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও এব্যাপারে বেশ ওয়াকিবহাল।
আরও পড়ুন- ফের স্কুলমুখো পড়ুয়ারা, করোনা বিধি মেনে আজ থেকেই চালু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
এদিন এপ্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''স্টুডেন্ট ক্রেডিড কার্ডের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি সহযোগিতা করছে না। ব্যাঙ্ক ঋণ না দিলে সমবায় দেবে। সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ না দিলে তাদের কাছে জবাবদিহি চাইতে হবে। সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে, ছাত্রদের ঋণ দিতেই হবে।''
এছাড়াও জেলা ধরে ধরে এদিন উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনাকালে সরকারের রাজস্ব খাতে আয় কমেছে। সেই কারণেই নতুন প্রকল্প চালুর বদলে জরুরি প্রকল্পগুলির কাজ যাতে ঠিকঠাক চলে সেব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।