পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে নবান্নের সংঘাতে ছিল জলভাত। কখনও মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে রাজ্যপালের টুইট, আবার কখনও ধনখড়কে ইঙ্গিত করে মমতার টুইটে সরগরম থাকত রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু, ধনখড়ের উত্তরসূরী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে তেমন সম্পর্ক চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যাপেলর শপথের দিনই ১০০ রসগোল্লা পাঠিয়ে তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মিষ্টিমধুর সম্পর্ক বাস্তবেও বজায় থাকবে বৃহস্পতিবার আশা প্রকাশ করেছেন মমতা। এ দিন বিকেলে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই সিবি আনন্দ বোসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি।
এ দিন প্রায় আধ ঘণ্টা রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে তা জানিয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাজ্যপাল খুবই ভাল। জেন্টেলম্যান। খুবই সুন্দর ব্যবহার করেছেন। রাজ্যপালকে নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম। উনি আমাদের সঙ্গে সব বিষয়ে খুব সহযোগিতা করে চলছেন। ভবিষ্যতেও করবেন বলে আমায় জানিয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমে সব সমাধান হয়ে যাবে। সামনে উৎসবের মরশুম। আমি তাই এসেছিলাম ওঁকে আগাম শুভেচ্ছা জানাতে। মেরি ক্রিসমাস টু অল অফ ইউ।'
অর্থাৎ নয়া রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রথম দিন থেকে যে উষ্ণ সম্পর্কেরর আবহ, তা এখনও বজায় রয়েছে তা সাফ বোঝে গেল।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। ১০ তারিখ সম্ভব বাজেট পেশ। বাজেট অধিবেশনের সূচনা হবে রাজ্যপাল সিভই আনন্দ বোসের ভাষণের মাধ্যমে। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অধিবেশনের বিষয়টিতে সিলমোহর পড়েছে। এরপরই বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আা প্রকাশ করলেন সব সমস্যা সমাধানের। যা বঙ্গ রাজনীতিতে এযাবৎকালে বেশ তাৎপর্যবাহী।