চাকরি নিয়ে বিরাট আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। ''চাকরির জন্য আর বাইরে যেতে হবে না। চাকরি আপনার ঘরের দরজায় এসে আপনাকে ডাকবে।'' সোমবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়মে কারিগরি শিক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারগরি শিক্ষায় উত্তীর্ণ ১১ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে আজই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চাকরি নিয়ে বিরাট দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করেছে ইডি-সিবিআই। লক্ষ-লক্ষ টাকার বিনিময়ে বঙ্গে চাকরি 'বিক্রি'র অভিযোগ উঠেছে। চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে ইতিমধ্যেই জেলে যেতে হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাকরি 'চুরি'র অভিযোগ এনে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে বিরোধীরা। 'টাকা ছাড়া বাংলায় চাকরি নেই' বলে তৃণমূলকে দুষছে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস। এসএসসি, প্রাইমারি টেট-সহ বেশ কয়েকটি সরকারি চাকরির নিয়োগে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।
ঠিক এই আবহেই চাকরি নিয়ে বিরাট আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের কারিগরি শিক্ষায় উত্তীর্ণদের চাকরির নিয়োগপত্র প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ''আপনাদের আর বাইরে যেতে হবে না। চাকরি আপনার ঘরের সামনে এসে আপনাকে ডাকবে। আমার টার্গেট এখন কর্মসসংস্থান। আমাদের ছেলেমেয়েদের বাইরে থেকেও ডাক আসছে।''
আরও পড়ুন- ‘বাসের কনডাক্টর হঠাৎ করে ৫০ বিঘার মালিক, এটা হয়?’, বোমা ফাটালেন শোভনদেব
আগামী দিনে বাংলায় আরও শিল্প হবে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে কংর্মসংস্থান, এদিন ফের একবার এমনই আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এপ্রসঙ্গে এদিন বলেন, ''বড় শিল্প দেউচা-পঁচামিতে হচ্ছে। কতগুলো লোক চায় না। গন্ডগোল করে বেড়াচ্ছে। ওটা হয়ে গেলে ১ লক্ষ ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হবে। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরেও ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট হচ্ছে। কয়েক লক্ষ চাকরি হবে। আপনাদের আর বাইরে যেতে হবে না।'' আজই কারিগরি শিক্ষায় উত্তীর্ণ ১১ হাজার ছেলেমেয়েদের চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ফের সিজিও-য় মেনকা, কয়লাকাণ্ডে অভিষেকের শ্যালিকার বয়ান রেকর্ড করবে ED
রাজ্যের ছেলে মেয়েদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির বন্তোবস্ত করে যাবে সরকার, এদিন এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এরই পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিরও সমালোচনা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ''আমাদের এখানে কিছু রাজনৈতিক দল আছে, কিছু হলেই ইঁদুর কামড়েছে বলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তখন রেলে ইঁদুর ঘুড়ে বেড়াচ্ছে বলে দেখাত। এখন কিছু দেখায় না। শিল্পে জাগরণ না হলে ভাইবোনেরা মাথা তুলে দাঁড়াবে কী করে? দেশে এজেন্সিরাজ চলছে। উন্নয়ন বলে কিছু নেই।''