এসএসকেএম হাসপাতালে ঘণ্টা তিনেক কাটানোর পর বাড়ি ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাঁ পায়ের লিগামেন্টে চোট লেগেছে বলে এসএসকেএম হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে অনুরোধ করেছিলেন চিকিৎসকরা। যদিও রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী। বাড়িতেই যাবতীয় চিকিৎসা তিনি করাবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকদের। আপাতত বাড়িতেই এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই থাকবেন তিনি।
Advertisment
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফেরার জন্য ওড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। কিন্তু, মাঝ আকাশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে কপ্টারটি। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর ওই কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয় সেবক এয়ার বেসে। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কপ্টার থেকে নামতে গিয়েই কোনওভাবে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পায়ে ও কোমরে চোট লাগে বলে জানা যায়।
কলকাতায় ফেরার পরেই সোজা এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগে থেকে উডবার্ন ওয়ার্ডে তৈরি রাখা হয়েছিল বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের। মমতার কনভয় এদিন এসএসকেএমে ঢুকতেই বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসক-নার্সরা। তবে হুইলচেয়ার নিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। হেঁটেই হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে দেখা যায় তাঁকে।
তবে তাঁর হাঁটতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল বলেই ছবিতে দেখা গিয়েছে। উডবার্ন ব্লকে বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা আগে থেকেই ছিলেন। অর্থোপেডিক, নিউরোমেডিসিন-সহ একাধিক চিকিৎসকদের দল তাঁকে পরীক্ষা করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এমআরআই করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এছাড়াও প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করানো হয়েছে তাঁর। তাঁর বাঁ পায়ের লিগামেন্টে চোট লেগেছে। এই বাঁ পায়েই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রচারে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন ঘণ্টা তিনেক এসএসকেএম হাসপাতালে থাকার পর বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, আপাতত বাড়িতেই দিন কয়েক বিশ্রাম নেবেন তিনি। কয়েকটি ওষুধ তাঁকে খেতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।