রেড রোডের পুজো কার্নিভালে আপাদমস্তক ফেস্টিভ মুডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্নিভাল দেখার ফাঁকেই কখনও কাঁসর বাজাতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে, কখনও আবার ঢাক বাজালেন তিনি, কখনও আদিবাসী নাচে পা মেলাতেও দেখা গেল তাঁকে। সব মিলিয়ে শনিবারের রঙিন রেড রোডে ফের একবার চেনা ছন্দে ধরা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisment
দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর এই প্রথম কার্নিভাল কলকাতায়। গত দু'বছর করোনার জেরে কার্নিভাল করা যায়নি। এবছর ইউনেস্কোর স্বীকৃতি মেলার পর দুর্গাপুজোর কার্নিভালকে আরও বড় আকারে করার প্রস্ততি নিয়েছিল রাজ্য সরকার। শনিবারের কার্নিভাল উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল গোটা রেড রোড চত্বরকে। মোট ৯৫টি পুজো কমিটি অংশ নিয়েছিল দুর্গাপুজোর এই কার্নিভালে।
রেড রোডে প্রতিটি পুজো কমিটিকে অনুষ্ঠান করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখে মঞ্চের কাছে এসেও অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে দেখা যায় একাধিক পুজো কমিটিকে। মুখ্যমন্ত্রীও বেশ কয়েকবার মঞ্চ থেকে নেমে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। কখনও কাঁসর বাজাতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনও আবার শিল্পীদের আবদারে তাঁদের সঙ্গে নাচতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
সব মিলিয়ে শনিবারের রেড রোডে ফের একবার চেনা ছন্দে ধরা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে যাওয়ার অভ্যাস তাঁর বরাবরের। এর আগেও কখনও প্রকাশ্য জনসভায় কখনও আবার কোনও জায়গায় যাওয়ার সময় গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে ভিড়ে মিশে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও রাস্তার পাশের দোকানে ঢুকে চা-মোমো বানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব ঢঙে করা জনসংযোগের জেরে বারবার আরও বেশি সতর্ক হতে হয়েছে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদেরও। শনিবারও ফের একবার জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাওয়া মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গেল তাঁরই চেনা ছন্দে।