এবার মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারেই থাবা বসিয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই একথা আজ বিধানসভায় জানিয়েছেন। একইসঙ্গে অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। ভাইরাসের মোকাবিলায় চিকিৎসকদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর।
দিন যত এগোচ্ছে রাজ্য ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করছে অ্যাডিনোভাইরাস। এই নিয়ে গত ২ মাসে রাজ্যে জ্বর-সর্দি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ৯৬টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে গত ২ দিনে এই একই উপসর্গ থাকা ৪২টি শিশুর মুত্যু হয়েছে। শহর থেকে জেলা, ক্রমেই ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে ভাইরাস। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারেও থাবা বসিয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিধানসভায় জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যও অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসের মোকাবিলায় চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে অযথা রেফার না করার অনুরোধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধুমাত্র রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি সংকটজনক হলে তবেই রেফার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- প্রাণঘাতী জ্বর-সর্দি! বিসি রায়ে এবার শ্বাসকষ্টে প্রাণ খোয়াল ৮ মাসের শিশু
অ্যাডিনোভাইরাসের মোকাবিলায় টেলি মেডিসিন পরিষেবার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এব্যাপারে চিকিৎসকদরে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বিধানসভায় আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কোমর্বিডিটি থাকা ১৩ জনের পাশাপাশি অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যদিও অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে না ভুগে এদিন ফের একবার সতর্ক থাকার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর। ভাইরাসের আক্রমণ রুখতে মাস্ক পরার ব্যাপারে জোর দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।